দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাবার খেলেই অনেকের শুরু হয়ে যায় অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালা। এর থেকে রেহাই পেতে সেই ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। তাই কোন খাবারে উপকার পাবেন সেটি আজ জেনে নিন।
বুক জ্বালা
বর্তমান সময়ে অনেকেই গ্যাস-অ্যাসিডিটিকে জীবনের সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছেন। মুখে কিছু তুলতে না তুলতেই তাদের শুরু হয়ে যায় চোঁয়া ঢেঁকুর। যদি কখনও বাইরের উল্টোপাল্টা খাওয়া হয়, তাহলে তো আর কথায় নেই! সেই দিনের মতো ভবলীলা সাঙ্গ হবে। বুক জ্বালাতেই কেটে যাবে দিন-রাত।
ডায়েটেই লুকিয়ে রয়েছে মুক্তির উপায়
নিয়ম মেনে সঠিক খাওয়া-দাওয়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়াও বাঙালি হেঁশেলে মজুত কিছু উপকরণ চটজলদি বুক জ্বালা দূর করতে পারে। তাই এই সব ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগিয়ে কব্জি ডোবাতে আর কোনও নিষেধই থাকবে না।
ওটমিল দিয়ে দিন শুরু হোক
ব্রেকফাস্টে লুচি কিংবা ভাজাভুজি কিছু খেলেই অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়বে। তাই সারা রাতের উপবাস ভাঙুন হেলদি ওটস দিয়েই। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি হজমে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে কমাবে অ্যাসিডিটি।
আদা কাজে আসবে
আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ধর্ম। এর গুণে দূরে থাকবে গ্যাস-অ্যাসিডিটি। তাই চিবিয়ে খান কিংবা চা এর সঙ্গে খান, আদা যে কোনওভাবেই উপকারী।
পালং শাক পাতে থাকুক
সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার। তাই এই মৌসুমে পালং শাক দিয়ে পেট ভরালে শরীর-স্বাস্থ্য দুইই ভালো তো থাকবেই, সেইসঙ্গে অ্যাসিডিটিও দূরে পালাবে।
আমন্ডও
অ্যাসিডিটি হতে রেহাই পেতে কয়েকটি আমন্ডই কিন্তু যথেষ্ট। এতে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চুমুক দিন ক্যামোমাইল টি
খাওয়ার পর চুমুক দিতে পারেন এক কাপ ক্যামোমাইল টি’তে। এতেই অ্যাসিডিটি থাকবে দূরে। সঙ্গে পাওয়া যাবে আরাম। এমনকি ভালো ঘুমও হবে।
দু’দানা মৌরি
হজমেও সাহায্য করে মৌরি। তাই খাওয়ার পর কয়েক দানা মৌরি চিবিয়ে নিতে পারেন। মৌরি চা’য়ে চুমুক দিলেও উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org