দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ ৬ সেনা এবং ৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
গত শুক্রবার এবং শনিবারের মধ্যে হতাহতের এই ঘটনাটি ঘটেছে। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম মোহাম্মদ আলী শওকত। নিহত অন্য সেনারা হলেন- ল্যান্সনায়েক শহীদ উল্লাহ, ল্যান্সনায়েক মুহাম্মদ উল্লাহ, ল্যান্সনায়েক ইউসুফ আলী, ল্যান্সনায়েক আখতার জামান এবং সিপাহি জামিল আহমেদ। নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলী শওকত অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। অভিযানের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
দেশটির আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের হুমকির মূলোৎপাটন করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমাদের নিহত সেনাদের আত্মত্যাগ আমাদের শক্তিকে আরও শাণিত করবে। দ্য ডন–এর প্রতিবেদনে নিহত সন্ত্রাসীদের তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়। সংগঠনটিকে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ উল্লেখ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান। নিহত ৬ সন্ত্রাসীর মধ্যে টিটিপির শাখাপ্রধান আতাউল্লাহ রয়েছেন। মেহরান হিসেবে পরিচিত তিনি।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে আতাউল্লাহ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর সোয়াতে বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশের একটি গাড়িতে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানোর সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org