দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার সাম্প্রতিক পরিমার্জিত পারমাণবিক নীতিকে তাদের পারস্পরিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার প্রতীক হিসেবেই বর্ণনা করেন।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুসে মোতায়েনের পর এই সমন্বিত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে বলেও তিনি জানান। গতকাল সোমবার (৮ অক্টোবর) মস্কোয় সিআইএস সম্মেলনে যোগ দিতে ক্রেমলিনে পৌঁছানোর পরই সাংবাদিকদের তিনি এইসব কথা বলেন। -খবর তাসের।
লুকাশেঙ্কো বলেন যে, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।’ তবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ‘রেড লাইন’ কিংবা সীমা নির্ধারণও করা হয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি কেও আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে প্রয়োজনে (এই অস্ত্র) ব্যবহার করা হবে।’
তবে তিনি জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, বেলারুস কখনই একতরফাভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না- এমনকি এই অস্ত্র তাদের নিজেদের হলেও না। লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘কোনো দেশই মিত্রদের পরামর্শ ছাড়া এমন অস্ত্র ব্যবহার করবে না, আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা উঠলে, রাশিয়ার সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও হবে।’
এদিকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুসে স্থাপনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে বেলারুসের মতে, এই পদক্ষেপ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ও এটি রাশিয়া-বেলারুসের কৌশলগত মৈত্রীকে আরও সুসংহত ও মজবুত করছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org