দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে দেশের কয়েকজন নির্মাতা সিনেমা বানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে বান্নাহ লেখেন, জুলাই ফ্যাসিস্ট বিরোধী গণআন্দোলন এবং গণহত্যা নিয়ে ফিল্মের কাজে নামলাম- প্রি প্রোডাকশন অন।
বান্নাহর এই পোস্টে উৎসুক নেটিজেনরা মন্তব্যও করেছেন। রিপ্লাইয়ের মাধ্যমে তাদের কৌতূহলও মেটাচ্ছেনদ এই নির্মাতা। একজন লিখেছেন, এই সিনেমার নায়ক নায়িকা কে? উত্তরে বান্নাহ লিখেছেন, ছাত্র-জনতা।
অপর একজন লিখেছেন, ছাত্র জনতার অদম্য সাহস ও লড়াইয়ের চিত্র ফুটে উঠুক। সর্বোচ্চ আবেগ অনুভূতি দিয়ে এই কাজ করবেন- খুব কড়া ডকুমেন্ট যেনো হয়ে থাকে। ৪ আগস্ট ফার্মগেটের নিহত ছেলেটার ভিডিও রয়েছে আমার কাছে যদি লাগে বলেন আমি দিয়ে দেবো। নাফিজ ওর নাম সম্ভবত যেটা ওই যে রিকশায় তার ছবি ছিল।
এর আগেও বান্নাহ নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জানিয়েছিলেন যে, তার প্রথম সিনেমা হবে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধদের নিয়েই। এবার সেই ছবিই শুরু করতে যাচ্ছেন এই নির্মাতা।
উল্লেখ্য, এর আগে রায়হান রাফীও ঘোষণা দিয়েছিলেন চব্বিশের গণভ্যুত্থান নিয়ে সিনেমা বানাবেন। রাফীর ভাষায়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে এত এত গল্প রয়েছে যেগুলো নিয়ে অনেক সিনেমা বানাতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করবো দ্রুত নির্মাণ করার। সেটি মুগ্ধকে নিয়ে হোক কিংবা পুরো ঘটনা নিয়েই হোক। আমার কিন্তু সত্য ঘটনা বলতে ভালোই লাগে। এত এত টুইস্ট, গল্প, কেনো আমি বানাবো না!’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org