দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের বাজারে নতুন ও সর্বাধুনিক “বিস্পোক AI” প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর লাইনআপ উন্মোচন করেছে শীর্ষ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং। হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজারে স্মার্ট ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই রেফ্রিজারেটরগুলো।
রাজধানীর গুলশান ২-এ অবস্থিত র্যাংগস ই-মার্ট স্টোরে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নতুন এই রেফ্রিজারেটর লাইনআপ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ, ফারহানা করিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেড, শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস, স্যামসাং বাংলাদেশ, ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী, ডিভিশনাল ডিরেক্টর, র্যাংগস ই-মার্ট এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এই লাইনআপে রয়েছে ৪টি অত্যাধুনিক মডেল – RT31B1, RT35B1, RT3522 এবং RT42B1। ব্যবহারকারীদের নানা ধরণের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী করে এই রেফ্রিজারেটরগুলো ডিজাইন করা হয়েছে। প্রতিটি মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে প্রিমিয়াম মেটালিক ফিনিশ, কোটা ফিনিশ এবং গ্লাসের সমন্বয়ে তৈরি স্লিক, ফ্ল্যাট দরজা, যা আধুনিক গৃহস্থালির নান্দনিকতা এবং সৌন্দর্য্যের চাহিদার সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই।
নতুন ফ্রিজগুলোতে যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সব ফিচার, যা ব্যবহারকারীদের অনন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। স্যামসাংয়ের স্মার্টথিংস এআই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের অভ্যাস বিশ্লেষণ করে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে তার ধারণা দেয়, ও নির্ধারিত সীমার বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হলে সেভিং মোড চালুর পরামর্শ দেয়, ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেকাংশে সাশ্রয় করা সম্ভব হয়। স্যামসাংয়ের স্পেসম্যাক্স ট্রেডমার্ক প্রযুক্তি রেফ্রিজারেটরগুলোতে যথেষ্ট ইন্টেরিয়র স্পেস নিশ্চিত করে, তাই ধারণক্ষমতা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়াই চাইলে পুরো সপ্তাহ বা মাসের বাজার একবারেই করে নেওয়া যায়! জরুরি কোনো প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে হলেও সমস্যা নেই, কারণ স্মার্টথিংস অ্যাপ ব্যবহার করে ওয়াই-ফাই’এর মাধ্যমে দূর থেকেও নতুন লাইনআপের এই রেফ্রিজারেটরগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অনুষ্ঠানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ বলেন, “গ্রাহকদের প্রাত্যহিক জীবনকে আরো সহজ ও উন্নত করার জন্য উদ্ভাবনীর চর্চা ও প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে স্যামসাং। আমাদের নতুন এআই-সাপোর্টেড ফ্রিজগুলো আধুনিক ডিজাইন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি, যা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি কমপ্রেসারের স্থায়িত্বও বাড়াবে। আধুনিক গৃহস্থালির জন্য এই রেফ্রিজারেটরগুলো সেরা সমাধান, কারণ এগুলো আধুনিক সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপন নিশ্চিত করতে সক্ষম”।
র্যাংগস ই-মার্টের ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে বাড়ির রেফ্রিজারেটরকে সাধারণ গৃহস্থালি অনুষঙ্গ হিসেবে দেখা হয় না, এটি রীতিমতো ঘরের স্ট্যাটাস ও গৃহীর রুচিরও পরিচয় বহন করে। গ্রাহকরা এখন ঘরের সাজসজ্জার মান এবং ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে এইসব অ্যাপ্লায়েন্সের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। আমাদের নতুন রেফ্রিজারেটর লাইনআপ এইক্ষেত্রে শতভাগ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে পারে। নতুন এই রেফ্রিজারেটরগুলো ব্যবহারকারীদের রান্নাঘর ও ডাইনিং স্পেসের সৌন্দর্য অনেকগুণে বাড়িয়ে তুলবে”।
রান্নাঘরের সবধরণের প্রয়োজন মেটাতে স্যামসাং -এর নতুন লাইনআপের বেসপোক এআই রেফ্রিজারেটরগুলো আপনার সেরা সঙ্গী হতে পারে। রেফ্রিজারেটরগুলোর সেরা ডিজাইন এবং ফিচারগুলো যাচাই করে দেখতে আগ্রহী ক্রেতাদের সারাদেশের স্যামসাং অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছে স্যামসাং। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org