দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ১১ অক্টোবর দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পায় কুসুম সিকদার পরিচালিত এবং অভিনীত চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’। মুক্তির পর মাল্টিপ্লেক্স কেন্দ্রীক দর্শকদের প্রশংসাও পায় সিনেমাটি। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির দুই মাসের মাথায় ‘শরবের জবা’ এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হবে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি। এই প্লাটফর্ম থেকে জানানো হয় যে, এই সিনেমাটি দর্শককে দেখতে ২০ টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করতে হবে।
সম্প্রতি চ্যানেল আই ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ১২ ডিসেম্বর ‘শরতের জবা’ মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম সিকদার।
নিজের লেখা বই ‘অজাগতিক ছায়া’ হতে ‘শরতের জবা’ গল্পটি চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে আনেন কুসুম। এটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং পহরডাঙ্গা পিকচার্স। ২০২১ সালের বইমেলায় কুসুম সিকদারের এই বইটি ‘অজাগতিক ছায়া’ তাম্রলিপি প্রকাশনী হতে বের হয়।
মূলত একজন একাকী নারীর রহস্যময় জীবনের গল্প উঠে এসেছে এই ‘শরতের জবা’ সিনেমায়। অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবা’র জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নেরও জন্ম দেয়। জবা কী আসলেই একজন খুনি? নাকি অদৃশ্য কোন শক্তি রয়েছে তার সঙ্গে? এমন থ্রিলার গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি।
কুসুম সিকদার ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নরেশ ভূঁইয়া, নিদ্রা দে নেহা, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org