দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি আবদার মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। যদিও মানুষ কিন্তু মানুষের কাছেই আবদার করবে, এটিই নিয়ম। এই আবদারের ফুলঝুড়ির নিয়ম-নীতির কারিগর নাট্যকার রাজীব মণি দাসের রচনা ও নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষ নাটক ‘জামাই আবদার’।
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে- নাদিম একজন সফল ব্যবসায়ী হলেও তার যেনো লোভের কোনো শেষ নেই। এ যেনো আরও চাই আরও চাই- স্বভাবকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই শ্বশুর বাড়ি থেকে নানা অজুহাতে বিভিন্ন জিনিস আবদার করে বসেন। নানা বাহানায় নাদিম জানতে চায় কি কি আনা হইছে বিদেশ হতে। তবে কোনো ভাবেই সে এই তথ্যটি জানতে পারে না। তার সন্দেহ আরও বেড়ে যায়, না জানি কতো কিছু আনছে, কতো মানুষরে দিছে, তাকে কেনো দিচ্ছে না। সমন্ধি জানায় যে, সে এইবার এক কাপড়েই দেশে আসছে।
সে কিছুই আনতে পারে নাই। এই কথা কোনোভাবেই নাদিম যেনো বিশ্বাস করে না। সে ভাবে তার সঙ্গে ঠাট্টা করছে তার সমন্ধি। তারপর যখন নাদিম তার স্বপ্নের কথা স্ত্রী’র কাছে বলে, স্ত্রী তো যেনো আকাশ থেকে পড়ে। সাড়ে ৪ লাখ- ৫ লাখ টাকা দামের হোন্ডা কিনে দেওয়ার কথা বলে নাদিম। ভাইকে বলতে বললে হেনা তা বলে না। অত:পর লজ্জাশরমের বালাই না রেখেই নিজেই স্বপ্নের বাইকের কথা জানালেন।
এদিকে নাদিম জানান, টাকা না দিলে স্ত্রীকে তালাক দিবেন। বোন জামাইয়ের এমন অদ্ভুত আবদার কি রাখতে পারবে জাকির? এই বিষয়টি জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নাটকটি দেখার জন্য।
এই নাটকটিতে লোভী জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আ.খ.ম হাসান। তার স্ত্রী ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পুনম হাসান জুঁই, এছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন- তারিক স্বপন, ফরিদ হোসেন, সাহেলা আক্তার প্রমুখ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org