দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের উত্থান-পতনের গল্পে সিনেমা ‘৮৪০’নির্মাণ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এই সিনেমাটি।
এই মুক্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’র বিশেষ প্রিমিয়ার শো। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সকল কলাকুশলীরা। উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। সকলেই সিনেমাটি উপভোগ করেন।
‘৮৪০’র প্রিমিয়ার শেষে গণমাধ্যমে সিনেমা সম্পর্কে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, একজন শিল্পী, নির্মাতা, সাহিত্যিক সমাজের বাস্তবতাকে তুলে ধরবেন। তবে বিগত সরকারের আমলে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক কিংবা আমাদের সিনেমার নির্মাতারা অনেক সময় অনেক বিষয় তুলে আনতেও পারেনি। এখন আমাদের সময় সেই কথাগুলোই বলা।
তিনি আরও বলেন, সেই কাজটি করেছেন ফারুকী ভাই। আমরা রাজনৈতিক একটা লড়াইয়ে মাধ্যমেই এসেছি। সেই লড়াইটা এখনও চলমান রয়েছে। যারা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতে আছেন তাদের কাছে আমাদের আহ্বান, সিনেমার মাধ্যমে সমাজের প্রসিদ্ধ বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা করুন।
অপরদিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি এবং সার্বজনীন লড়াই সেটি হলো- সাংস্কৃতিক লড়াই। এই লড়াইটা ফারুকী ভাই এরা আগে থেকেই করে আসছিলেন। আশা করি, তার এই সিনেমাটি পূর্বের ‘৪২০’নাটকের চেয়েও বেশি সাড়া জাগাবে।
ছবিয়াল প্রোডাকশন হতে ‘৮৪০’সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর। তবে শুধু প্রেক্ষাগৃহেই নয়, ওটিটি ও টেলিভিশনেও দেখা যাবে এই সিরিজটি।
‘৮৪০’ সিরিজে বিশিষ্ট মেয়র তথা রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে পর্দা কাঁপাবেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন খান। এ ছাড়াও সিরিজে আরও রয়েছেন, ফজলুর রহমান বাবু, বিজরী বরকতুল্লাহ, নাদের চৌধুরী, শাহরিয়ার নাজিম জয়, জাকিয়া বারী মম, মারজুক রাসেল ও প্রান্তর দস্তিদারসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত সিরিজ ‘৪২০’ নির্মাণ করেছিলেন ফারুকী। লম্বা বিরতির পর সিরিজটির সিক্যুয়েল হয়ে পর্দায় ফিরতে যাচ্ছে ‘৮৪০’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org