দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ রমজান ১৪৪৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো মসজিদ খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ। দেশে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার এই কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ।
১৪৪ বছর পূর্বের ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি মসজিদটিতে নামাজ পড়তে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে আসেন বহু মুসুল্লি। খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরাও এই মসজিদ না দেখে যান না।
এই মসজিদ সম্পর্কে গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান জাফর উল্ল্যাহ বলেছেন, তিনি তার দাদার কাছে শুনেছেন যে, মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় খাগড়াছড়িতে ছোট্ট একটি বাজার ছিল। সেই সময় খাগড়াছড়ি ছিল রামগড় মহকুমার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গ্রাম। যে গ্রামের বাজারে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ছিল। তাদের আদিনিবাস ছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এবং রাউজান এলাকাতে। তাঁরা রাঙামাটি, মহালছড়ি হয়ে চেঙ্গীর নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে খাগড়াছড়ি আসতেন ও বাণিজ্য করতেন। ওই ব্যবসায়ীদের একজন ছিলেন আমছু মিয়া বলি, অপরজন লাল মিয়া। দু’জনের নেতৃত্বে আরও অনেকের সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার চেংগী নদীর পাড়ে কাঠ এবং শন (খড়) দিয়ে বানানো হয় মসজিদটি। পরে টিনশেড ঘর হতে বিল্ডিং এবং বর্তমানে তিনতলা হয়েছে মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটির আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট। টিনশেড বিল্ডিং থাকা অবস্থায় মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কারও করা হয়। তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org