দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহাসিক শৈলকুপা শাহী মসজিদ। এই মসজিদটি ঝিনাইদহ জেলা সদর হতে সড়ক পথে বাস বা সিএনজি যোগে শৈলকুপা শাহী মসজিদে যেতে হয়। এটি ঝিনাইদহ থেকে দুরত্ব ২৮ কি.মি।
কুমার নদের তীরে অবস্থিত শৈলকুপা শাহী মসজিদটি দক্ষিণবঙ্গে সুলতানী আমলের স্থাপত্যকীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। এই মসজিদটি দরগাপাড়ায় অবস্থিত। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই মসজিদের দৈর্ঘ এবং প্রস্থ (ভিতরের দিকে) ৩১.৫/২১ ফুট। দেওয়ালগুলো প্রায় ৫.৫ ফুট প্রশস্ত। চার কোণে রয়েছে ৪টি মিনার। এগুলো গোলাকার ও বলয়াকারে স্ফীতরেখা দ্বারা অলংকৃত। মিনারগুলো এই মসজিদের অনেক উপরে উঠে গেছে। মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে ৩টি ও উত্তর এবং দক্ষিণ দেওয়ালে দু’টি করে প্রবেশ পথ রয়েছে। পূর্ব দেওয়ালের কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উভয় পাশে একটি করে সরু মিনার রয়েছে এবং এগুলো কোণের মিনারের চেয়ে কিছু নিচু। মসজিদের কার্নিশ ঈষৎ বাঁধানো; ভিতরে পশ্চিম দেওয়ালে ৩টি মেহরাব। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি আকারে বেশ বড়। মসজিদের ভিতরে ৫ ফুট উঁচু দুটি স্তম্ভ রয়েছে। এগুলোর উপরে রয়েছে ইটের তৈরি খিলান। এই দুটো স্তম্ভ এবং চার পাশের দেওয়ালের উপর নির্মিত হয়েছে ৬টি গম্বুজ। এগুলো আকারেও বেশ ছোট।
এই মসজিদটি প্রধানতঃ ইটের তৈরি। এই মসজিদে এতো সংস্কার এবং সংযোজন হয়েছে যে, এর আদি কাঠামো কী ছিল তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা খুব সহজ নয়। কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ এবং কোণের মিনারগুলো সম্ভবতঃ পরবর্তীকালের সংযোজনকৃত। তবে এটি যে সুলতানী আমলের মসজিদ তা খুব সহজেই বোঝা যায়। মসজিদের পূর্ব দিকে অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত (৪৫/৩০ ফুট ) একঢি মাজারও রয়েছে। স্থানীয় লোকদের মতে, এটি শাহ্ মোহাম্মদ আরিফ-ই-রব্বানী ওরফে আরব শাহ্র মাজার। এই মাজারের কাছে আরও ৬ জন আউলিয়ার মাজার রয়েছে। মসজিদ কিংবা মাজারে কোন রকম শিলালিপি নেই। তথ্যসূত্র: https://www.jhenaidah.gov.bd
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org