দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অহঙ্কার খুবই খারাপ একটি জিনিস যা সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়ারও অন্যতম কারণ। তাই অহংকার কখনও বাড়তে দেওয়া যাবে না। তাহলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

অহংকার বাড়তে দেবেন না
আত্মবিশ্বাস ও অহঙ্কারের মধ্যে সূক্ষ্ম তফাৎ বিদ্যমান। অনেকেই সেটি বুঝতেই পারেন না। আত্মবিশ্বাস যেমনটি ভালো, তেমনি সমানভাবে ক্ষতিকর অহংকার। আত্মবিশ্বাস কাজের গুণমান আরও বাড়িয়ে তোলে। তেমনি অহংকার কাজের উপর প্রভাব ফেলে। অহংকার সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়ারও অন্যতম একটি কারণ। তাই অহংকার বাড়তে দেওয়া যাবে না। তাহলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই অহংকার?
ব্যবহারে পরিবর্তন আনুন
কাছের মানুষ, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ব্যবহারে কী পরিবর্তন এসেছে? তাহলে বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়েই দেখুন। কেও যদি আপনার কোনও রকম প্রশংসা করেন, আপনার উচিত তাকে এর যোগ্য উত্তর দেওয়া। তবে অন্যের প্রশংসা যদি গুরুত্বহীন মনে হয়, তাহলে নিজেকেই প্রশ্ন করুন। আদৌ প্রশংসা পাওয়ার মতো কোনও কাজ করেছেন কী?
আবেগের পায়ে বেড়ি পরান
অহংকার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আবেগ কমাতে হবে। জীবনের কিছু কিছু পরীক্ষায় অন্যরাও আপনাকে ছাপিয়ে যেতে পারেন। তবে অন্যের সাফল্য যেনো আপনার বিরক্তি, রাগ বা হিংসার কারণ না হয়ে ওঠে। অন্যের সাফল্যে খুশি হতে শিখুন। তাহলে দেখবেন, জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সমালোচনা শুনতে হবে
দেখা যায় যে অনেকেই নিজের সম্পর্কে সমালোচনা মোটেও শুনতে চান না। অহংকারী মানসিকতা থেকে মূলত নিজের বিষয়ে সমালোচনা শুনতে নারাজ অনেকেই। তবে এই ভাবনা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভুল স্বীকার করার মধ্যে অসম্মানের কোনও বিষয় নেই। এছাড়াও কেও সব কাজ ঠিক করতে পারে না। তাই সমালোচনাকেও সাদরে গ্রহণ করার মন মানষিকতা থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org