দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাবতে অবাক লাগে যে একটি স্পিকারের মধ্য দিয়ে আমরা কিভাবে একটি বাস্তব শব্দ শুনে থাকি। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ব্লুটুথ স্পিকার, ব্লুটুথ হেডফোন। তাই শব্দ শোনার ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন।
ব্লুটুথ স্পিকারের সাউন্ড কোয়ালিটি কি সাধারণ স্পিকারের চেয়ে ভালো কি মন্দ কিংবা ব্লুটুথ সাউন্ড আমাদের জন্য ইতিবাচক কি নেতিবাচক তা আজ আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ব্লুটুথ স্পিকারের মূল যে সমস্যাটি হয়ে থাকে তা হলো এটি শব্দকে অনেক বেশি কম্প্রেস করে ফেলে। এরফলে ব্যবহারকারীরা একটি গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অনেক শব্দই শুনতে পান না। ঠিক তেমনি আপনি যদি একটি ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে তা আপনাকে সাধারণ হেডফোনের মতো সাউন্ড কোয়ালিটি প্রদান করবে না। এছাড়া একটি ব্লুটুথ ডিভাইস মাত্র ২.৪ গিগাহার্জের ওয়ারল্যাস ফ্রিকোয়েন্সি ধারণ করে। এরফলে বলা যায় যে, ব্লুটুথ ডিভাইস আপনাকে সাধারণ অডিও স্পিকার কিংবা হেডফোনের মতো সাউন্ড কোয়ালিটি প্রদান করতে পারবে না।
কিন্তু মজার বিষয় হলো দিনকে দিন ব্লুটুথ উন্নত হচ্ছে। ব্লুটুথ ডিভাইস ১.১ থেকে শুরু করে আজ পাওয়া যাচ্ছে ৪.০ ডিভাইস। ফলে এর শব্দ ধারণ কিংবা শব্দ গুণাগুণ অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। আপনি যদি একটি ব্লুটুথ ডিভাইস কিনতে চান তবে এর কতগুলো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এর মধ্যে স্পিকার সাপোর্ট ডিভাইস আছে কিনা, সিডি কোয়ালিটি অডিও ট্রান্সফার করতে পারে কিনা। যদি এটি সম্ভব না হয় তবে এর অ্যাডভান্সড অডিও ডিস্ট্রিবিউশন লক্ষ্য করুন। যে সকল কারণে ব্লুটুথ ডিভাইস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বহনযোগ্যতার সহজীকরণ। সাধারণ ডিভাইসগুলোর সাথে রয়েছে তার, যারফলে এগুলো সহজে বহন করা যায় না। কিন্তু এর বাইরে শব্দ গুণাগুণের ভিত্তিতে ব্লুটুথ ডিভাইস এখনো সাধারণ অডিও ডিভাইসগুলোর সমকক্ষতা পায়নি। তবে ব্লুটুথ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে হয়তো খুব দ্রুতই আমরা ভালো মানের ব্লুটুথ অডিও সাউন্ড কোয়ালিটি পাবো।
আপনি যদি শব্দের গুণাগুণের প্রতি নজর দিয়ে থাকেন তবে আপনার ক্ষেত্রে ব্লুটুথ কার্যকরী সমাধান হতে পারে না। আপনি সাধারণ অডিও ডিভাইসগুলোর ব্যবহারে নজর দেওয়া উচিত। তবে ব্লুটুথ ডিভাইসগুলোর সাউন্ড কম্প্রেস করার ফলে এটি আপনার মস্তিস্কে কম প্রভাব ফেলে সাধারণ অডিও ডিভাইসগুলোর চেয়ে।
তথ্যসূত্রঃলাইফহ্যাকার