দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রকৃতি সব সময় তার খেয়াল মতোই চলে। আর তাই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে মাঝে-মধ্যেই। যেমন এক ব্যক্তির দেহের বাইরে হৃদপিণ্ড! এই ঘটনায় বিস্মিত সবাই।
প্রকৃতি তার নিজ গতিতে চলে। নিয়মতান্ত্রিক সব কিছুর বাইরে মাঝে-মধ্যেই ঘটে অনিয়মতান্ত্রিক ঘটনা। আর এসব ঘটনা সকলকেই বিস্মিত করে। যেমন এক ব্যক্তির হৃদপিণ্ড দেহের বাইরে। এমন ঘটনা কখনও কেও দেখেনি। কিন্তু ওই ব্যক্তির হৃদপিণ্ডটি বাইরে থাকায় বিস্মিত হয়েছেন চিকিৎসকসহ সকলেই।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাতে। আহমদাবাদ সংলগ্ন একটি গ্রামের ১৮ বছরের অর্পিত নামে এক তরুণ দেখতে আর পাঁচটা তরুণের মতোই। কিন্তু তার শরীরে এমন একটা বিষয় রয়েছে যা দেখলে যে কেও চমকে যেতে পারেন। জামা খুললেই দেখা যায়, দেহের বাইরে রয়েছে তার হৃৎিপণ্ডটি!
ঘটনাটি শুধু সাধারণ্যে নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়ের ব্যাপার। চিকিৎসদের অনুমান, এ ধরনের নজির সম্ভবত আর কোথাও নেই। চিকিৎসকদের দাবি, দেহের বাইরে হৃ্তপিণ্ড নিয়ে যেসব শিশু জন্মায় তারা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যাওয়ার কথা। এ যাবত এমন অনেক শিশুর জন্ম হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু হয়েছে এসব শিশুর। কিন্তু অর্পিতের বেঁচে থাকার ঘটনা তাদের বিস্মিত করেছে। কোনো অসুস্থতা নেই অর্পিতের মধ্যে। এমনকি সে একেবারেই সুস্থ। অন্য সকলের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে সে। খেলাধুলো হতে ঘরের সব কাজকর্ম সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে করে সে।
অর্পিতের জন্ম হয় ১৯৯৭ সালে। শরীরের বাইরে হৃৎিপণ্ড দেখে চমকে যান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা তখন বলেছিলেন, বেশিদিন বাঁচতে পারবে না এই শিশু। কিন্তু এই ভবিষ্যতবাণী উল্টে গেছে। সে এখনও স্বাভাবিকই রয়েছে। এখন তার বয়স ১৮।
নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে অর্পিত। এখন বাবার সঙ্গে চাষাবাদ এবং পশুপালনের কাজ করে অর্পিত। অর্পিত বলেছে, তার হৃদপিণ্ডটি দেহের বাইরে থাকলেও তার কোনও সমস্যা হয় না। সে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করছে। আর তাই চিকিৎসকরা তাকে ‘বিস্ময় বালক’ হিসেবে অভিহিত করছেন।