দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তাই বলে ‘আত্মহত্যার গ্রাম’? এমন কথা আমরা আগে শুনিনি। আজ রয়েছে ‘আত্মহত্যার গ্রাম’ হিসেবে খ্যাত এক আজব গ্রামের গল্প!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ বছরের শুরু হতে এখনও পর্যন্ত, ৫ মাসে ওই আজব গ্রামে আত্মহত্যা করেছেন ৮০ জন! গত বছর আত্মহত্যা করেছিল ৩৮১ জন।
দুই মাস আগে এই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সরপঞ্চ জীবন নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপরই তার ভাই রাজেন্দ্র সিসোডিয়া সরপঞ্চ আত্মহত্যা করেছেন। তার মা ও ভাইও আত্মহত্যা করেছেন কিছুদিন পূর্বে!
তবে এভাবে আত্মহত্যাকে কোনও ‘দুষ্ট আত্মা’র কাজ বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। এমনই জানিয়েছেন, খোদ সরপঞ্চ রাজেন্দ্র সিসোডিয়া। একরকম দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়েই দিন কাটাচ্ছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার বড়ি গ্রামের মানুষজন। গ্রামে বাস করে ৩২০টি পরিবার। এই গ্রামটির মোট জনসংখ্যা ২৫০০। একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে গ্রামবাসীদের।
পুলিশ সুপার অমিত সিং জানিয়েছেন, এ বছর ৮০ জনের আত্মহত্যার ঘটনাকে সবাই কোনও না কোনও শয়তান কিংবা অপদেবতাকেই দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে মনোবিদ ডা. শ্রীকান্ত রেড্ডি মনে করছেন, কোনো না কোনো ডিপ্রেশনের কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। মারাত্মক পরিমাণে কীটনাশক দেওয়ার কারণে এই ঘটনা বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও সুস্পষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক কারণ ছাড়াও অনেক রকমের কারণ থাকে এই ধরনের ডিপ্রেশনের। একসময় চীনের একটি গ্রামে দেখা যায় যে, একটি বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যেটি ডিপ্রেশনের কারণ। অথচ মানুষ বুঝতে না পেরে এটিকে অপদেবতা বলে দায়ী করছেন।
এই আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই এই গ্রামে মদের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকটি পিছিয়ে পড়া গ্রামের মধ্যে এটিও একটি। এখানে একাধিক কুসংস্কার কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।