দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোসল বা স্নান না করে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেওয়া ব্যক্তি বলা হয়ে থাকে বিশ্বের ‘নোংরাতম’ ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি কেনো দীর্ঘ ৬০ বছর স্নান করেননি?
এক দিন দুদিন বা এক মাস দুমাস নয় স্নান না করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। দীর্ঘ ৬০ বছর তিনি কাটিয়েছেন স্নান না করে। এই দীর্ঘ সময় তিনি একটিবারের জন্যও পানি ঢালেননি শরীরে। এই ব্যক্তিকে নিয়ে অবশ্য আমরা আগেও দি ঢাকা টাইমস্ এ প্রতিবেদন করেছি। সেই ব্যক্তি আবারও উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে।
‘দ্য তেহরান টাইমস’-এর রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ৮০ বছরের আমু হাজি-র এটাই সার সত্য একটি ঘটনা। অর্থাৎ জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি গোসল না করে কাটিয়েছেন। পানি-সাবান গায়ে দেওয়াতে তাঁর ঘোরতর আপত্তি যে রয়েছে, শুধু তাই নয়। ‘স্নান’ শব্দটি শুনলেই নাকি তার কেমন পাগল পাগল লাগে!
দক্ষিণ ইরানের ফারস জেলার একটি পরিত্যক্ত গ্রামের নাম দেজগা। সেখানেই মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ান এই বৃদ্ধ হাজি। এত বছরের অপরিষ্কার শরীরে যে মাটির আস্তরণ জমেছে তার শরীরে, তাতে মাঝেমাঝে তাঁকে প্রকৃতির উপরে পড়ে থাকা পাথর বলেই মনে হয়। এমনভাবেই হাজিকে বর্ণনা করেছেন আশপাশের গ্রামের মানুষজন। নিজের বলতে কেওই নেই এই আমু হাজির। কানাঘুষো সোনা যায় যে, যুবক বয়সে প্রেমে আঘাত পেয়েই নাকি এই জীবন বেছে নিয়েছিলেন আমু হাজি।
আমু হাজির থাকা-খাওয়া সবকিছুই অদ্ভুত। শজারুর পচা মাংস খেয়ে নাকি পেট ভরান তিনি। প্রকৃতির কোলই তাঁর বিছানা। গ্রামের মানুষ ইট দিয়ে একটি ঘরের মত বানিয়ে দিয়েছে তার থাকার জন্য। ইচ্ছে হলে বুড়ো হাজি সেখানেও থাকেন মাঝেমধ্যে। না হলে ঘুরে বেড়ান যেখানে-সেখানে।
আরেকটি বিষয় হলো বেড়ে যাওয়া চুল-দাড়ি কাটার কোনও প্রশ্নই নেই তার। যখন মনে হয় চুল-দাড়ি বেড়ে গিয়েছে, তখন আগুনে পুড়িয়ে দেন মাঝে মধ্যে। বিশ্বের সব থেকে ‘অপরিষ্কার’ মানুষের খেতাব এখন আমু হাজির। এর আগে এই খেতাবে জয় করেছিলেন ৬৬ বছরের এক ভারতীয়, কৈলাস সিংহ। ৩৮ বছর গায়ে পানি-সাবান দেননি সিংহমশায়।