দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌমাছি নিয়ে শরীর ঢেকে ফেলার ঘটনা আমরা আগেও অনেক দেখেছি। তবে এবারে ঘটনাটি একটু ব্যতিক্রমি। কারণ এবার ২০ হাজার মৌমাছি নিয়ে গর্ভর্তীর ফটোশুট করেছেন!
আমর বিভিন্ন সময় গর্ভবতী নারীদের নিয়ে অনেক ফটোশুট করতে দেখি। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমি ঘটনা আমাদের চোখে পড়লো। বিভিন্ন সময় গর্ভাবস্থা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি বা মাতৃত্বের অসাধারণ বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার জন্য ক্যামেরার সামনে আনা হয়। এবার এই বিষয়ক ফটোশুটে এক হবু মা সাহসিকতার চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়েছেন। এক গর্ভবর্তী মহিলা ফটোশুট করলেন ২০ হাজার জীবন্ত মৌমাছির সঙ্গে।
এই গর্ভবর্তী মহিলার নাম এমিলি মুলার। তিনি চতুর্থবারের মতো সন্তান প্রসব করতে চলেছেন। আমেরিকার ওহিওতে মৌমাছির চাষ করেন এমিলি মুলার। তাই খুব বেশি ভয় পান না তিনি। বরং এদের সঙ্গেই যেনো এক সখ্যতা। তবুও গর্ভাবস্থায় এমন সাহস কয়জনই বা করেন। তবুও সাহস করে অসাধারণ ফটোশুট করেন এমিলি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এমিলি মুলার ও তার স্বামী রাইয়ান। দুজন মিলে মৌমাছির খামার গড়ে তুলেছেন। তারা দুজন মিলেই পরিচালনাও করেন।
এমিলি মুলারের স্বামী ৩৭ বছর বয়সী রাইয়ান জানিয়েছেন, এই মৌমাছিগুলো তাদের জীবনের বড় একটি অংশ জুড়েই রয়েছে। এমিলি মুলার জানান, তিনি এদেরকে মোটেও ভয় পান না তিনি। এই মৌমাছিগুলো তাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে।
এমিলি মুলার বলেন, তাই একবার যখন সুযোগ পাওয়া গেলো, তখন গর্ভাবস্থার মতো এমন অনন্য এক সময়ের স্মৃতি এদের সঙ্গেই ক্যামেরাবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিলাম আমি।
এই কাজে বুদ্ধি দিয়েছেন ক্যামেরাম্যান কেন্ড্রা দামিস। এমিলির পেটের ওপর মৌমাছিগুলোকে শান্তভাবে বসিয়ে রাখার পদ্ধতিও তারা নিজেরাই আবিষ্কার করেছেন। অবশ্য এমিলির নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তারা জানিয়েছেন, মৌমাছিদের রানিটাকে বের করে এনে খাঁচায় বন্দি করা হয়। ওই খাঁচাটা এমিলি নিজের কাছেই রেখেছিলেন। যে কারণে সব মৌমাছিই উড়ে এসে রানির কাছে ভিড় জমায়। আর তাই ছবি তুলতে ওদের যে অবস্থান দরকার, তাই মিলে যায়।
এই ছবিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। লিখেছেন, এটা জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা বটে। সবার এমন ভাগ্য মেলে না। এমিলির ছবি তোলার এই ঘটনাটি জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
মৌমাছিকে নিয়ে তোলা ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে। তবে অনেকেই এই ধারণাকে সুষ্ঠু চিন্তার নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আবার অনেকেই গর্ভে থাকা শিশুটির কোনো ক্ষতির আশঙ্কাও করেছেন। একজন লিখেছেন যে, রীতিমতো আমার শরীরের রোম দাঁড়িয়ে গেছে!
তবে ঘটনা যায়ই হোক না কেনো শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তাকে টপকে এমিলি তার মাতৃত্বের এই অসাধারণ ছবিগুলো স্মৃতির পাতায় রাখতে সমর্থ হয়েছেন- সেটিই বড় কথা।