দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাকাও পাবেন একটি গ্রামে থাকলে! এমন কথা শুনে আপনি হয়তো প্রথমে বিশ্বাস নাও করতে পারেন। কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। একটি গ্রামে বসবাস করলে দেওয়া হবে ৫০ লক্ষ টাকা!
যেখাবে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে সব কিছু। আকাশছোঁয়া পাহাড়ের ঘেরাটোপে মাথার উপরে জেগে রয়েছে ঝকঝকে নীলাভ আকাশ। শীতল হাওয়া বয়ে চলেছে যেনো এক স্বস্তির বার্তা নিয়ে। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব গ্রাম এটি। এমন একটি পরিবেশে থাকতে যে কারও মন চাইবে সেটিই স্বাভাবিক! বিশেষ করে সেখানে থাকলেই যদি মেলে ৫০ লক্ষ টাকা!
আশ্চর্য মনে হলেও সুইজারল্যান্ডের আলবিনেন গ্রামমণ্ডলী তেমন প্রস্তাবই পৌঁছে দিচ্ছে সকলের কাছে। এই গ্রামে এসে থাকলেই পাওয়া যাবে ৫০ লক্ষ টাকা। তবে কেনো এই প্রস্তাব?
আসলে প্রকৃতি যতোই মনোরম হোক না কেনো, তাকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার মতো মানুষ দ্রুত কমে যাচ্ছে ওই গ্রামে। তবে কোনো মারণ ব্যধির জন্য দায়ী নয়। নিতান্তই কর্মসংস্থানের অভাবে বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন সেখানকার আবাসিকরা।
সে কারণেই দেখা দিয়েছে মহা সংকট! বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের বিদ্যালয়টি। মাথায় উঠেছে গ্রামের দোকানপাটের কেনাকাটাও। দিন দিন প্রাণহীন, শ্রীহীন হয়ে পড়ছে আলবিনেন নামে এই গ্রামটি।
এই সমস্যার মোকাবিলার জন্য এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রামমণ্ডলী। তারা জানিয়ে দিয়েছেন– এখানে এসে থাকলে পরিবারপিছু দেওয়া হবে ৪৬ লক্ষ টাকা। তবে এই টাকা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে বই-কি!
আলবিনেন গ্রামমণ্ডলী জানিয়েছে, এই টাকাটা পাওয়ার জন্য ১০ বছর একটানা থাকতে হবে এই গ্রামে। এরপূর্বে গ্রাম ছেড়ে চলে গেলে টাকাটা ফেরত দিতে হবে তাকে। শুধু তা-ই নয়, পরিবারের পুরুষ ও নারীর বয়স ৪৫ বছরের বেশি হওয়া চলবে না। তাদের সঙ্গে থাকতে হবে দু’টি সন্তানও। তা হলেই বয়ষ্কদের জন্য মাথাপিছু ২০ লক্ষ এবং শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে।
গ্রামমণ্ডলী বলেছে, সবদিক ভেবেচিন্তেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অর্থব্যয়ে গ্রামের লাভ বই ক্ষতি হবে না! গ্রামের লাভ হবে ওই পরিবারগুলির বাড়ির কর হতে, বাড়ি তৈরির মালমশলা ওমিস্ত্রিদের মজুরি হতেও। সেইসঙ্গে গ্রামের দোকানপাটে শুরু হবে আগের মতোই কেনাকাটার জোয়ার। খুলবে বিদ্যালয়টিও, কচিকাঁচাদের কলরবে ভরে উঠবে আলবিনেন। সেই প্রত্যাশা হতেই গ্রামমণ্ডলী এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।