দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সমগ্রবিশ্বই যেনো প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। কে কার থেকে শক্তিশালি যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারে তা নিয়ে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারসনিক যুদ্ধবিমান হলো রুশ ‘ব্ল্যাকজ্যাক’।
সমরাস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতায় একে অন্যকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে পরাশক্তিগুলো। একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইল, আন্ত:মহাদেশীয় মিসাইল, সুপারসনিক যুদ্ধ বিমান, বোমারু বিমান, ড্রোন, রকেট লঞ্চার সবকিছুই রয়েছে।
চীন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া নতুন নতুন সমরাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দিচ্ছে এবং প্রদর্শনী করছে। এরই অংশ হিসেবে এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ‘ব্ল্যাকজ্যাক’ সামনে নিয়ে এলো ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া।
জানা গেছে, দেশটি তাদের কাজানের এয়ারক্রাফট এন্টারপ্রাইজের হ্যাঙ্গার হতে নবনির্মিত ‘টু-১৬০এম২ বা ব্ল্যাকজ্যাক’ সুপারসনিক যুদ্ধ বিমানের ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে।
টুপোলেভ বিমান কোম্পানির নকশা করা এই যুদ্ধ বিমানটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ১৩০ টন জ্বালানি তেল দিয়ে এটি একটানা উড়তে পারবে প্রায় ১৫ ঘণ্টা। এটিতে থাকছে নতুন ইঞ্জিন, ইলেকট্রনিক অবকাঠামো, কাচের ককপিট, যোগাযোগ এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও। ২০১৮ সালে এটি প্রথম আকাশে উড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, টু-১৬০এম২ বিমানে পূর্বের মডেলের মতো কেএইচ-১০১/১০২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকছে। রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূর হতে আঘাত হানতে পারে।
১৬ নভেম্বর কাজানের এয়ারক্রাফট এন্টারপ্রাইজের হ্যাঙ্গার হতে নবনির্মিত টু-১৬০এম২ বিমান গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই প্রথমবারের মতো টু-১৬০ বিমানের নতুন সংস্করণ তৈরি করলো আধুনিক যুদ্ধ বিমান বানাতে বরাবর পারদর্শী রাশিয়া।