Categories: Picturesque

Which country in the world people smile the most?

The Dhaka Times Desk মানুষের হাসির সঙ্গে কি বিষয়ের সম্পর্ক জড়িত আর তা হলো আপনি কেমন থাকেন তার উপর। যারা ভালো থাকে তারা তো হাসবেই সেটিই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাহলে বিশ্বের কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি হাসে?

আপনি কেমন আছেন? এই প্রশ্ন করাই যেতে পারে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ ১৪৩টি দেশের ১ লাখ ৫১ হাজার সাধারণ মানুষকে এই ধরনের কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিলো। সাক্ষাৎকার নেওয়ার ঠিক আগের দিন আসলে কেমন ছিলেন তারা? রাগী কিংবা বিমর্ষ ছিলেন? হেসেছিলেন? নতুন কিছু কি শিখেছেন? সব মিলিয়ে গ্লোবাল ইমোশনস শীর্ষক এই রিপোর্টে উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য, মানুষ নিজের জীবনকে কীভাবে দেখছেন সেই বিষয়টি।

জরিপে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার ব্যাপারে ৫টি প্রশ্ন ছিল গ্যালাপের। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ১০ জনের মধ্যে ১৭ জনের উত্তর ছিল- ‘উপভোগ্য সময় কেটেছে (৭১ শতাংশ), ভালো ঘুম হয়েছে (৭২ শতাংশ), প্রচুর হেসেছি (৭৪ শতাংশ) এবং সম্মান পেয়েছি (৮৭ শতাংশ)।’

সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই এক নম্বরে রয়েছে এই দেশটি। এর নাগরিকরা বেশ আরামপ্রিয় মানুষ। শীর্ষ দশে এরপর রয়েছে যথাক্রমে পানামা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, ইন্দোনেশিয়া , হন্ডুরাস, ইকুয়েডর, কোস্টারিকা এবং কলম্বিয়া। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইন্দোনেশিয়া স্থান করে নিয়েছে এই জায়গায়।

গ্যালাপের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাবের দেশের তালিকায় থাকা লাতিন আমেরিকার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। সেখানকার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রতিদিনই আবেগী অনুভূতি হয়ে থাকে। ওই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রবণতা নাগরিকদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বের এই জরিপে উঠে আসা চিত্র সেটারই একটি প্রতিফলন।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলো নাইজেরিয়া। সবচেয়ে বেশি তরুণ জনসংখ্যার দিক দিয়ে এই দেশটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। দেশটির মোট ১৮ কোটি ৬০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ৯ কোটিরও বেশি বাসিন্দার বয়স হলো ১৮ বছরের নিচে। সামাজিক ও পরিবারকেন্দ্রিক পরিবেশে থাকা নাইজেরিয়ানদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই প্রচুর হাসিখুশির মধ্যে থাকার কথা বলেছেন।

অপরদিকে শান্তিতে ঘুমানোর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে মঙ্গোলিয়া। দেশটির ৮৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, আগের দিন তারা আরামে কাটিয়েছেন। অবারিত প্রান্তর, হ্রদ, গিরিখাদ এবং বালিয়াড়িতে সমৃদ্ধ দৃশ্যাবলি রয়েছে সেখানে। তাছাড়া প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র দুই জন বাস করেন মঙ্গোলিয়াতে। যে কারণে সব ধরনের ঝামেলা এড়ানো তাদের জন্য খুব সহজ।

গ্যালাপের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগের দিন বিশ্বের অর্ধেকেরও কম মানুষ (প্রায় ৪৯ শতাংশ) জানিয়েছেন, আগের দিন তারা কিছু শিখেছেন ও আলাদা কিছু করেছেনও। যেমন এল সালভাদরে প্রতি চারজনে তিনজন এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন।

বিশুদ্ধ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য এল সালভাদর, পানামা এবং গুয়াতেমালা এগিয়ে রয়েছে। এই ৩টি দেশের এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা ইতিবাচক আত্ম-উন্নয়নের কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল (৭৩ শতাংশ) এবং নাইজার (৭২ শতাংশ)।

জরিপে শারীরিক যন্ত্রণা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, ধকল ও বিরক্তি; এই ৫টি নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়েও বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রশ্ন করা হয়েছিলো। নেতিবাচক অভিজ্ঞতার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাঁদ। ২০০৩ সাল হতে এটি তেল উৎপাদনে সুনাম কুড়ায়। তবে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতায় জর্জরিত এই দেশটি। দেশটির হাজার হাজার পরিবারের মৌলিক সেবা ভেঙে পড়েছে। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই (৭২ শতাংশ) জানান, গত বছর জীবিকা নির্বাহ করতে তারা হিমশিম খেয়েছেন।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, অনেক দুশ্চিন্তা (৩৯ শতাংশ) বা ধকল (৩৫ শতাংশ) গেছে। ১০ জনের মধ্যে ৩ জন শারীরিক যন্ত্রণার (৩১ শতাংশ) কথা জানিয়েছেন। প্রতি ৫ জনের মধ্যে অন্তত একজন বিষণ্নতা (২৪ শতাংশ) এবং বিরক্তিকর (২২ শতাংশ) অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। ইতিবাচক অভিজ্ঞতা কম দিয়েছে এমন দেশের নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম হলো আফগানিস্তান।

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ৭ নম্বরে থাকা সুইডেন গ্যালাপের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বেশি এমন তালিকায় মধ্যে হয়েছে চতুর্থ।

দুশ্চিন্তা বা বিষণ্নতার দিক দিয়ে তালিকার নিচের দিকে রয়েছে তাইওয়ান, কম বিরক্তির ক্ষেত্রে এস্তোনিয়া এবং শারীরিক যন্ত্রণা কম (১৪ শতাংশ) হয় ভিয়েতনামের নাগরিকদের বেলায়।

কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ চাপমুক্ত সময় কাটিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন। এর ঠিক বিপরীত দিকে গ্রিসে প্রতি ১০ জনের ৬ জনের ওপর দিয়ে ধকল যায় বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অপরদিকে আবেগপ্রবণ দেশের মধ্যে ওপরের দিকে রয়েছে নাইজার, ফিলিপাইন, লাইবেরিয়া এবং ইকুয়েডর। এসব দেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই বেশ আবেগী প্রবণ। এর মধ্যে আবার ইকুয়েডরে ৯৭ শতাংশ মানুষই সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার বিষয়টি অনুভব করে থাকেন।

গ্যালাপের প্রতিবেদনের সঙ্গে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনেকটাই ভিন্ন। ১৫৬টি দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়, স্বাস্থ্য, সামাজিক সহায়তা, জীবনের প্রত্যাশা এবং স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ ওই জরিপ করেছিল।

This post was last modified on মে ২৭, ২০১৯ 11:57 am

Staff reporter

Recent Posts

Regular 8 hours of sleep and ink under the eyes! What is the reason?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েও চোখের তলায় কালি পড়ছে! এর কারণ…

% days ago

Crime GPT will help the police!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের চারপাশে প্রতিদিন নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এইসব অপরাধের দ্রুত…

% days ago

Legendary singer Runa Laila's new song 'Eina Brdhaashram' is coming on Mother's Day.

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা লায়লা ও ওয়াসী।…

% days ago

According to an American actor, Putin is the greatest leader in the world!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক ঘটলো ভ্লাদিমির পুতিনের। তার…

% days ago

A coconut garland is cut unevenly between this row of coconuts: Find

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারকেলের এই সারির মধ্যে একটি নারকেল মালা কাটা হয়েছে অসমানভাবে।…

% days ago

Historic Jahaniya Mosque in India

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১…

% days ago