The Dhaka Times Report. বিশ্বের নানা খবরা-খবর নিয়ে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ আমরা প্রতি মঙ্গলবার পাঠকদের সামনে তুলে ধরি। আজও এর ব্যতিক্রম না করে নানা ধরণের মজার মজার খবর তুলে ধরা হলো।
স্ট্রবেরি ব্যাঙ
Strawberry Poison Dirt-Frog. দেহের রঙ স্ট্রবেরির মতো বলে এমন নামকরণ। আকারে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যাঙের মধ্যে এটি একটি। মাত্র মানুষের নখের আকারের সমান হলেও এর বিষ মারাত্মক ও বিপজ্জনক। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঙড়ঢ়যধমধ চঁসরষরড়. (ওফাগা পুমিলিয়)। স্ট্রবেরি ব্যাঙের আবাসস্থল মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং পানামায়। মাতৃ-পিতৃ স্নেহ এই ব্যাঙ জাতে দৃষ্টান্তস্বরূপ। প্রথমে মা ব্যাঙ নিষিক্ত ডিম্বাণু স্খলন করে। তারপর বাবা ও মা ডিম্বাণু থেকে জন্ম নেয়া বাচ্চাকে পাহারা দেয়, যাতে কোন শত্রু আক্রমণ করতে না পারে। অতঃপর তারা জলীয় আবহাওয়া পেতে যা ব্যাঙাচির বৃদ্ধিতে সহায়ক, এরা একে একে সব ব্যাঙাচিকে পিঠে নিয়ে বড় বড় গাছের উপরে উঠতে থাকে। স্ট্রবেরি ব্যাঙের এভাবে বাচ্চা পিঠে নিয়ে গাছে ওঠা অনেকটা মানুষের জন্য তার সন্তানকে পিঠে নিয়ে উঁচু ভবনে বা পাহাড়ে ওঠার মতো। নিরাপদ জলীয় পরিবেশে নিয়ে নবাগতের জন্য মা ব্যাঙ তার অনিষিক্ত ডিম খাদ্য হিসেবে ছাড়ে। এভাবে ব্যাঙাচি লেজ খসে পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙ-এ রূপান্তরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মা ব্যাঙ অনিষিক্ত ডিম ছেড়ে খাদ্য যোগান দিতে থাকে এবং পাহারা দিতে থাকে।
ক্লুনি অ্যাবি
ফ্রান্সের পূর্ব-মধ্য অবস্থানে অবস্থিত সাওনে এট লয়রে বিভাগের ক্লুনি শহরে রয়েছে এই উপাসনালয়টি। এটি বেনেডিক্টিয়ান সন্ন্যাসীদের মঠ হিসেবে বিবেচিত হত। একাদশ-দ্বাদশ শতকে ইউরোপে প্রচলিত গম্বুজ ও খিলানসমন্বিত বিশেষ ধরনের স্থাপত্য ও শিল্পকলারীতির আদলে গড়া এই স্থাপত্যটি আরও তিনটি চার্চ সহ ১০ শতক হতে ১২ শতকের মধ্যে নির্মিত হয়। যদিও অ্যাকুইটাইনের ডিউক উইলিয়াম ১ এটি তৈরি করার প্রথম নির্দেশনা দেন ৯১০ সালে। সেই সঙ্গে পোপ সার্গিয়াস ৩-এর অধীনে মঠটি স্থানান্তর করেন। মঠটির মধ্যে অবস্থিত ক্লুনি লাইব্রেরি ফ্রান্স তথা ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরি। লাইব্রেরিটিতে বহুসংখ্যক মূল্যবান হস্তলিখিত পুস্তক রয়েছে। ১৫৬২ সালে ধর্মযুদ্ধের সময় ফরাসি প্রট্যাসট্যান্টরা মঠটিকে বাতিল করে দেন এবং বহু পাণ্ডুলিপি ধ্বংস করে দেন। যেগুলো বাকি ছিল তার কিছু পরবর্তী সময়ে ফরাসি বিপ্লবের সময় পুড়িয়ে ফেলা হয়। বাকি পাণ্ডুলিপিগুলো ক্লুনি টাউন হলে মজুত করে রাখা হয়েছে।
Hagia Sophia Museum
তুরস্কের ইস্তানবুলে অবস্থিত এই জাদুঘরটি প্রথমে খ্রিষ্টানদের গির্জা এবং পরবর্তী সময়ে মুসলিমদের মসজিদ হিসেবে ব্যবহূত হত। ৩৬০ হতে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি কনস্ট্যান্টিনোপলদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহূত হত। তবে মাঝে ১২০৪ হতে ১২৬১ সাল পর্যন্ত এটি রোমান ক্যাথলিকদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহূত হত। ১৪৫৩ সাল হতে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহূত হত। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ সাল হতে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্থাপনাটি পবিত্র ট্রিনিটির দ্বিতীয় ব্যক্তি লোগোসকে উৎসর্গ করা হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সেন্ট সোফিয়া হিসেবে নামকরণ করা হয়। সোফিয়া হচ্ছে গ্রিক শব্দের লাতিন উচ্চারণ। যার মানে হল বিজ্ঞতা। এর গম্বুজকে বাইজানটাইন স্থাপত্যের সংক্ষিপ্তসার হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রত্মতাত্ত্বিক নগরী পেট্রা
জর্ডানের ঐতিহাসিক এবং প্রত্মতাত্ত্বিক নগরী মান গভার্নোরইটের অসাধারণ স্থাপত্য হচ্ছে পেট্রা। আনুমানিক ৬ষ্ঠ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে তৈরি এই স্থাপত্যটি জর্ডানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। সেইসাথে জর্ডানে আগত পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। হর পাহাড়ের ঢালু জায়গায় এর অবস্থান। ১৮১২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এটি একটি অপরিচিত স্থান ছিল। সুইস নাগরিক জোহান লুডউইগ বারখার্ড এর আবিষ্কারক।