ইকতেদার আহমেদ ॥ আমাদের পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতমালার গঙ্গোত্রী হিমবাহ। এটি গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমত ভগীরথী নামে প্রবাহিত হয়ে অতঃপর অলকানন্দ নদীর সঙ্গে মিশে গঙ্গা নাম ধারণ করেছে। এ গঙ্গা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবেশের পর পদ্মা নাম ধারণ করে চাঁদপুর অবধি প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
নদী তার বুকে পানিকে ধারণ করে বহমান থাকে। নদীর বহতা নদীর পাশের ভূ-ভাগের জনপদকে সজীব করে তোলে। পৃথিবীর আবর্জনা ও বর্জ্য নদী দ্বারা বাহিত হয়ে সাগরে পতিত হয়। নদী তার বুকে পানি ধারণ করে এবং বহতার কারণে নদীর পক্ষে আবর্জনা সাগরে অপসারণ সম্ভব হয়। নদীতে ধারণকৃত পানির ধর্ম পানি জড়-অজড় ভেদে বহিঃঅঙ্গের সব ময়লা ধুয়ে-মুছে পূতপবিত্র করে তোলে। পানি ময়লা-আবর্জনা ধুয়েমুছে ফেললেও তা চিরস্থায়ীভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখে না। পানি প্রাকৃতিক নিয়মে বাষ্পীয় ও কঠিন আকার ধারণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ হয়ে পুনঃপরিচ্ছন্ন করার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়। উজানে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর পানি প্রত্যাহার করা হলে নদীর ভাটিতে পলি জমে নদী নাব্যতা হারায় এবং কালক্রমে মরা নদীতে পরিণত হয়। গঙ্গা নদীর ফারাক্কা নামক স্থানে ভারত বাঁধ দেয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এককালে যে খরস্রোতা পদ্মার ওপর পাকশী রেল সেতু নির্মাণকালে বড় বড় পাথর ফেলে নদীর স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছিল, সে পদ্মার পানির ক্ষীণ প্রবাহের কারণে এখন গ্রীষ্মকালে তার বুকের ওপর দিয়ে পাকশী রেল সেতুকে উপহাস করে ট্রাক চলতে দেখা যায়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, গঙ্গার পানিতে পুণ্যস্নান করতে পারলে পাপ ধুয়ে-মুছে পূতপবিত্র হওয়া যায়। আবহমানকাল থেকে গঙ্গা মানুষের পাপ ও পঙ্কিলতাকে ধুয়ে-মুছে পবিত্র করলেও এর হ্রাস না ঘটে বরং বৃদ্ধি পেতে থাকলে গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত ড. ভূপেন হাজারিকা আক্ষেপ করে গঙ্গাকে বইতে নিষেধ করেছিলেন। ভূপেন হাজারিকার সে আক্ষেপে কি গঙ্গা কর্ণপাত করেছিল? করেনি বলেই গঙ্গা নদী হিসেবে এখনও তার ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।
নদী ভূ-ভাগকে দ্বিখণ্ডিত করার মাধ্যমে জনপদকেও দ্বিখণ্ডিত করে থাকে। নদীতে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দ্বিখণ্ডিত জনপদের মিলন ঘটানো হয়। পদ্মা নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মূল ভূ-ভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন। নদীতে সেতু নির্মাণের ফলে জন ও পণ্য চলাচল দ্রুততর হয় এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারের মাধ্যমে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে। এ বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় সরকারই পদ্মা সেতু নির্মাণে উদ্যোগী হয়। বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় ২০০৪ সালে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা (জাইকা) সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে তিনটি সংযোগস্থলের মধ্যে মাওয়া-জাজিরা সংযোগ স্থলটিকে সেতু নির্মাণের জন্য উপযুক্ত বিবেচনায় প্রতিবেদন দাখিল করে। তখন এ সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২০ কোটি ডলার। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী সভায় (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং ব্যয় ধরা হয় ১৪৭.২৭ কোটি ডলার। অতঃপর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে ২০০৯ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়ন করা হয়। সে সময় সেতুটির নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৮০ কোটি ডলার, যা পরে বেড়ে ২৬০ কোটি ডলার এবং অবশেষে অক্টোবর ২০১০ সালে ২৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার, এডিবি ৬১ কোটি ডলার, জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৪ কোটি ডলার সর্বমোট ২৩৫ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে চুক্তিবদ্ধ হয়। অবশিষ্ট অর্থ দেশীয়ভাবে জোগান দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দাতা সংস্থাসমূহ যথা- বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি’র ঋণের ওপর সুদের হার ধার্য করা হয়েছিল যথাক্রমে ০.৭৫, ১.০৫, ০.০১ ও ৩.০০ ভাগ হারে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন এডিবি প্রধান ঋণদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ায় জনৈক উপদেষ্টা প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বব্যাংককে প্রধান ঋণদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ করান এবং বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগেই ওই উপদেষ্টাকে এ সেতুর সততা উপদেষ্টা (ইন্টিগ্রিটি অ্যাডভাইজার) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ উপদেষ্টা প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন। প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক অথবা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা দেখার দায়িত্ব ছিল এ সততা উপদেষ্টার। তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকলে কেন আজ বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করল? এর জবাব কি তিনি দিয়েছেন? আর না দিয়ে থাকলে এর দায়ভার কি তিনি এড়াতে পারেন? বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তি কানাডীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের কাছে ঘুষ দাবি করার কারণে বিশ্বব্যাংক সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে দুর্নীতির অভিযোগে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকার বরাবর দু’দফা পত্র দেয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ অনুযায়ী বাংলাদেশ দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় জুন, ২০১২ সালে তাদের কাছে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে- এ বিবৃতি প্রদান করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়। বিশ্বব্যাংকের এ ঘোষণার পর এডিবিও বিশ্বব্যাংকের পথ অনুসরণ করে। জাইকা ও আইডিবি এখনও ঋণ প্রত্যাহার সংক্রান্ত চূড়ান্ত ঘোষণা না দিলেও সরকার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু সংক্রান্ত ঋণচুক্তি বাতিলের পর সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প অর্থায়নসহ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ঋণের সুদের হার বিশ্বব্যাংক ও এর সহযোগী ঋণদাতাদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হবে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, বিশ্বব্যাংক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং এ সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এর শর্ত মেনে চলে এ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল কোন দেশ আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছে এমন উদাহরণ আমাদের সামনে নেই। বিশ্বব্যাংকের ঋণের সুদের হার কম হলেও প্রকল্প ব্যয় নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ ভাগ বেশি হয়ে থাকে। এ প্রকল্প ব্যয়ের সিংহভাগই বিশ্বব্যাংকের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শকদের পকেটে ঢোকে। প্রকল্পের সঙ্গে এমন অনেক পরামর্শক যুক্ত করে দেয়া হয় যা প্রকল্পের অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং এসব পরামর্শকের প্রতিবেদন পড়ার ফুরসত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা সচিবের হয় কি-না সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা এলে এ বিষয়ে দেশবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। অনেকের মতে, নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারলে আমরা বিশ্বের দরবারে নিজেদের আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। আবার অনেকের মতে, নিজস্ব অর্থায়নে এ ধরনের বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাংকের বৈরী আচরণে ভুক্তভোগী মালয়েশিয়া ও মিসরের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রত্যাহার তাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং আত্মনির্ভরশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এক্ষেত্রে তাদের সফলতার পেছনে যে শক্তিটি কাজ করেছে সেটি হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য। এ বিষয়ে আমাদের যদি প্রশ্ন করা হয়- আমরা আমাদের জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি কি-না, সম্ভবত এর উত্তরের জন্য কোন গবেষণার প্রয়োজন হবে না এবং প্রশ্নটির উত্তর আমাদের সবার সামনে সদা ভাস্বর।
বর্তমানে আমাদের সামনে যেসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক, প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যদিও জাতীয় এসব বিষয়ের সাংবিধানিক ও আইনগত সমাধান দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়েছে কিন্তু এসব বিষয়ে জাতি যে দ্বিধাবিভক্ত তা স্পষ্টতই প্রতিভাত।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা গেলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু এবং নদী শাসন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বর্তমান ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে হ্রাস পেয়ে ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে মর্মে সমীক্ষকদের বিশ্বাস। কিন্তু নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে হলে জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি সরকারকে যেসব বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে তা হচ্ছে- বিশ্বব্যাংকের পত্রে উল্লিখিত যাদের দুর্নীতির অভিযোগে সরকার কর্তৃক পদক্ষেপ না নেয়ায় ঋণচুক্তি বাতিল করা হল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে দেশবাসীকে নিশ্চিত করা, নিজস্ব অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে কোন ধরনের দুর্নীতি না হওয়ার বিষয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা এবং যোগ্য, দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তার সমন্বয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প সংক্রান্ত সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। তাছাড়া সরকারের স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করার স্বার্থে অবশ্যই বিশ্বব্যাংকের পত্রদ্বয়ের বিষয়বস্তু জনসম্মুখে প্রকাশ করা আবশ্যক।
বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ বিবেচনায় নিলে প্রতীয়মান হয় এর সঙ্গে মুষ্টিমেয় লোক জড়িত। তাই আজ দেশবাসীর প্রশ্ন, মুষ্টিমেয় লোকের দুর্নীতির জন্য কেন দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে এবং কেন এর দায়ভার দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বহন করতে হবে?
পদ্মা তুমি অনাদিকাল থেকে মানুষের পাপ মোচন করে আসছ। পদ্মা আজ তোমার বুকে সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির সমার্থক পাপের তীর তোমার দিকে। তুমি এ যাবৎকাল সব ধরনের পাপ ও পঙ্কিলতাকে ধুয়েমুছে পূতপবিত্র করেছ। রাজনীতির কূটচালে উজানে পানি প্রত্যাহার ও ভাটিতে পলি জমায় পূর্বের খরস্রোতা রূপ হারিয়ে তোমার প্রবাহ আজ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষীণতর। তোমার নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় তুমি তোমার ধারাবাহিক বহতা হারাতে বসেছ। বহতা হারালে কিভাবে তুমি আবর্জনা ও বর্জ্য বহন করে সাগরে নিক্ষেপ করবে? আর কিভাবেই বা তোমার ধর্ম অক্ষুণ্ন রাখবে? তোমার পানি পরিশুদ্ধির ক্ষমতার বিষয়ে যারা ধর্মান্ধ, তোমাকে নিয়ে কি কঠিন খেলায় না তারা মত্ত। ‘দশজনে পাপ করে আর একজনে পুড়ে মরে’- এ বচনটি তোমার ক্ষেত্রেই সত্য হতে চলল। আজ কলঙ্ক তথা পাপের তিলক তোমার কপালে। তাই তো বলি, পদ্মা তোমার পাপ কে মোচন করবে?
(পদ্মা নিয়ে কত কথাই না হচ্ছে। পদ্মা সেতু এদেশের একটি ভবিষ্যত। এই সেতু বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে দেশে অর্থনীতির একটি বৃহৎ অংশ। আর তাই পদ্মা নিয়ে কত কথার একটি বিশেষ নিবন্ধ সে বিবেচনায় এনে প্রকাশ করা হলো।)
# ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্ট্রার, সুপ্রিমকোর্ট
iktederahmed@yahoo.com
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
View Comments
hBncPw Really enjoyed this post. Will read on...
i just joined squidoo...where can i insert my links or banners on my lens for getting traffic to my other sites?.
As a Newbie, I am permanently searching online for articles that can benefit me. Thank you
Wow! This could be one particular of the most useful blogs We've ever arrive across on this subject. Basically Magnificent. I'm also an expert in this topic therefore I can understand your effort.
I would like to thnkx for the efforts you've put in writing this blog. I'm hoping the same high-grade web site post from you in the upcoming as well. Actually your creative writing skills has encouraged me to get my own blog now. Actually the blogging is spreading its wings quickly. Your write up is a good example of it.
There is visibly a lot to identify about this. I assume you made various nice points in features also.
Hello there! Do you use Twitter? I'd like to follow you if that would be okay. I'm definitely enjoying your blog and look forward to new posts.
Hey there would you mind sharing which blog platform you're using? I'm planning to start my own blog soon but I'm having a difficult time choosing between BlogEngine/Wordpress/B2evolution and Drupal. The reason I ask is because your design and style seems different then most blogs and I'm looking for something completely unique. P.S Sorry for getting off-topic but I had to ask!
I know this if off topic but I'm looking into starting my own blog and was wondering what all is needed to get setup? I'm assuming having a blog like yours would cost a pretty penny? I'm not very web smart so I'm not 100% sure. Any suggestions or advice would be greatly appreciated. Many thanks
Keep working ,fantastic job!