The Dhaka Times Desk পৃথিবীর বাইরে চাঁদে বসতি গড়ার স্বপ্ন মানুষের অনেক দিনের। এবার মঙ্গলে মানববসতি গড়ে তোলার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে। নেদারল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘মার্স ওয়ান’ এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
কিংবদন্তি মার্কিন জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগানের স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ‘মার্স ওয়ান’। ১৭ বছর আগে মঙ্গলে মানুষের পদচিহ্ন রাখার স্বপ্নটি দেখেছিলেন সাগান। সাগানের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০২৩ সাল নাগাদ চার জন নভোচারীকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা সম্বলিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে মার্স ওয়ান।
মার্স ওয়ান এক বিবৃতিতে মঙ্গল গ্রহে একটি মানুষের উপনিবেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে। মঙ্গলকে মানুষের বাসের উপযোগী করে তোলার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলার জন্যই সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহটিতে পাঠানো হবে ওই চারজন নভোচারীকে। মানববসতি গড়ে তোলার জন্য নভোচারীদেরকে দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা । কেননা তবে বেশ বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে হবে তাদের।
প্রথমত, মঙ্গল গ্রহে থাকাকালীন সময়ে মানব দেহকে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সেখানকার মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে যা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের ৩৮ শতাংশ। ধারনা করে হচ্ছে, এতে মানব দেহের অস্থি-ঘনত্ব, পেশীর শক্তি আর যাবতীয় সঞ্চালনে আমূল পরিবর্তনে ভ্রমণকারীদের দৈহিক অবস্থা পৃথিবীর পরিবেশে বসবাসের যোগ্য থাকবে না।
দ্বিতীয়ত, প্রথম অবস্থার কারণেই পৃথিবীতে বসবাসর তাদের পরিবার পরিজনদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিতে হবে। কেননা,এই ভ্রমনের কোনোরকম ফিরতি-টিকেট নেই।
পাঠক মনে করতে পারেন, মঙ্গলে পা রাখার স্বাদ মনেই থাক। যাওয়ার দরকার নেই। শুনলে অবাক না হয়ে পারবে না। মঙ্গলে পা রাখার জন্য প্রথম চার নভোচারী হতে ইতোমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন মার্স ওয়ানের মেডিক্যাল পরিচালক নরবার্ট ক্রাফট। তিনি জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৬২ বছর। যদিও তারা পুরুষদেরকেই নেবেন তবু আবেদনকারীদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন।
মার্স ওয়ান জানিয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা মার্চে মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্যারাগন স্পেস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম আর মিশনের জন্য স্পেসস্যুট তৈরি করতে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে। ২০১০ সালে প্রকৌশলী বাস ল্যান্সডোর্প মার্স ওয়ান প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যান্সডোর্প জানান, তাদের এই স্বপ্নকে রূপ দিতে খরচ পড়বে প্রায় ৬শ কোটি মার্কিন ডলার। প্রচারের স্বত্ব বিক্রি করে এই খরচের কিছু অংশ সংগ্রহ করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি। (সৌজন্যে: বাংলাদেশ নিউজ২৪ডটকম)।