The Dhaka Times Desk এইডস নির্মূলে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতিতে এইচআইভি ভাইরাসের কোষে শর্করা এবং পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে সেটিকে সহজেই মেরে ফেলা যাবে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিনের গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন। এইচআইভি ভাইরাস নির্মূলে বিজ্ঞানীরা নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। নতুন এই পদ্ধতিতে এইচআইভি ভাইরাসের কোষে শর্করা এবং পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে খুব সহজেই সেটিকে মেরে ফেলা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন এবং ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই আবিষ্কার কথা জানিয়েছেন। পিএলওএস প্যাথোজেনস নামের জার্নালে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী কোনো কোষে আক্রমণের পর সেটি হতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা এবং পুষ্টি উপাদান শোষণ করে পুরো শরীরজুড়ে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়। বিজ্ঞানীরা রোগপ্রতিরোধী কোষ হতে ওই শর্করা এবং পুষ্টি উপদানগুলো বের হওয়ার সুইচটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। পরীক্ষামূলকভাবে বিজ্ঞানীরা ওই সুইচটি বন্ধ করে দিয়ে দেখতে পান যে এতে করে এইচআইভি ভাইরাস শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে যে, এই আবিষ্কার ক্যান্সারের চিকিৎসায়ও এটি কাজে লাগবে। কারণ ক্যান্সার কোষগুলোও এভাবেই শর্করা এবং পুষ্টি উপাদান শুষে দেহে বংশ বিস্তার ঘটায়। এই আবিষ্কারের কারণে এই প্রথমবারের মতো হয়তো বিজ্ঞানীরা এইচআইভি ভাইরাসের ব্যাপকহারে বংশবিস্তার রোধের পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হলেন। এর কারণ হলো বিদ্যমান চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এইচআইভি ভাইরাসের অস্বাভাবিক বংশবিস্তার রোধ করা যায় না।
প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয় যে, এই আবিষ্কারের কারণে হয়তো এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার হাত হতে বাঁচানো সম্ভব হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আজীবন এই ভাইরাস শরীরে বহন করতে হবে না- এমনটিই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।