The Dhaka Times Desk নিলামে ওঠে বিখ্যাত সব জিনিসপত্র। এবার একটু ব্যতিক্রমি নিলামের খবর পাওয়া গেলো, আর তা হলো তিমির বমি নিলামে উঠলো প্রায় ৮ লাখ টাকা!
এমন ব্যতিক্রমি একটি কথা শুনে যে কেও বাজে মন্তব্যও করতে পারেন। কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। তাই বলে তিমিন বমি? এক ব্যক্তি সমুদ্রের ধারে পেলেন তিমির বমি।
লন্ডনের কাছে একটি শহরে সকালে কুকুরকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে প্রাতভ্র্রমণে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাত্ তার চোখে পড়ে সমুদ্রপাড়ে পড়ে রয়েছে অনেকটা অ্যাম্বারগ্রিজ। যাকে সোজা কথায় বলে, তিমির বমি। দেখতে অনেকটা মোমের মতো পদার্থ। সুন্দর গন্ধে ভরে রয়েছে চারদিক। সেই গন্ধ মন মাতানো। সব মিলিয়ে এই বমির ওজন ছিল ১ কেজি।
তিনি তড়িঘড়ি করে অনেকটা বমি সংগ্রহ করেন। তিনি বুঝতেও পারেননি যে এই বমিই তাকে ধনী করে দেবে মুহূর্তে। কিন্তু তাই হয়েছে। বমির দাম উঠেছে নিলামে ৭ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা)!
তবে এই টাকার অঙ্কটা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে যে এমন করে ‘মহামূল্য’ বমি তার ভাগ্য খুলে দেবে, তিনি স্বপ্নেও বোধ হয় ভাবেননি।
এই বমি শুকিয়ে যাওয়ার পর তা আকার নিয়েছে অনেকটা মোমের মতো। এই বমিতেই থাকে অ্যাম্বারগ্রিজ নামে এক ধরনের পদার্থ, যা সুগন্ধী হিসেবে বিখ্যাতই শুধু নয়, মহার্ঘও বটে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ওই অ্যাম্বারগ্রিজ, কয়েক দশকের পুরনো। ভাসতে ভাসতে সমুদ্রসৈকতের এই তীরে এসে ঠেকেছে।
জানা গেছে, দামি দামি পারফিউম তৈরির জন্য অ্যাম্বারগ্রিজ-এর চাহিদা সব সময় রয়েছে। ওই পদার্থের গন্ধ নাকি এতটাই মোহনীয় যে, অ্যাম্বারগ্রিজ, পারফিউম কেও ব্যবহার করলে দূর হতেই গন্ধ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ‘অ্যাম্বারগ্রিজ’ সোনার মতোই মহামূল্যবান।