The Dhaka Times Desk বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দাবি করেছে যে, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ফাস্টফুড ও বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হওয়া প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস। এ ধরনের খাবার নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বেকন, সসেজ এবং বার্গার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুডে প্রক্রিয়াজাত মাংস ব্যবহার করা হয়। প্রক্রিয়াজাতকৃত এসব মাংস বলতে পোড়ানো ও লবণ কিংবা অন্য কোনো রাসায়নিক পদার্থযুক্ত করা মাংস বোঝানো হয়েছে। সাধারণতভাবে মাংসের স্বাদ বদলাতে অথবা সংরক্ষণ করার জন্য এমন পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়ে থাকে।
সংবাদ মাধ্যমের ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক রকম প্রচলিত খাবার প্রক্রিয়াজাত মাংস ছাড়া ছাড়া অন্য কিছু করা হয় না। এশীয় অনেক খাবারের মধ্যে প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস ব্যবহার করা হয়। ফাস্টফুডে এর ব্যবহার অনেকাংশে বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামতের কথা উদ্বৃত করে সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, দৈনিক ৫০ গ্রামের বেশি প্রক্রিয়াজাতৃকত মাংসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে ১৮ শতাংশ। মাত্র দুটি বেকনেই এই পরিমাণ প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস থাকে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। তবে ১০০ গ্রাম লাল মাংস হতে ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পক্ষে তেমন কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা অবশ্য মাংসকে একদমই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন না। তারা মনে করেন, মাংসের কিছু স্বাস্থ্যগত ভালো দিকও রয়েছে। যেমন লাল মাংসে পাওয়া যায় আয়রণ, জিংক এবং ভিটামিন বি১২।
তবে গবেষকরা সাবধান করে মত দিয়েছেন যে, প্রচণ্ড উত্তাপে দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করা, বারবিকিউ অথবা প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস খেলে শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়ে থাকে। তাই এ ধরনের মাংস থেকে দূরে থাকায় ভালো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকদের মতের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বলেছে, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস দিয়ে তৈরি একটি স্যান্ডউইচ স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই খারাপ। তবে এর থেকেও খারাপ নিয়মিত ধূমপান। অল্প কিছু পরিমাণ প্রক্রিয়াজাত মাংস অন্ত্রের ক্যান্সারে ততোটা ঝুঁকি তৈরি করে না। কিন্তু এমন মাংস বেশি গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জন্য ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস গ্রহণের ফলে প্রতিবছর প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।