The Dhaka Times Desk একজন পর্যটক গিয়েছিলেন দেশ ভ্রমণে। ভ্রমণে গিয়ে নিজেই আবিষ্কার করলেন একটি দেশ। আবার আবিষ্কারের পর সেই দেশের রাজাও হলেন তিনি নিজেই! পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তির নাম সুযশ দীক্ষিত।
সম্প্রতি তিনি একটি দেশের রাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভারতের এই তরুণ বর্তমানে আমেরিকার সফটিনেটর নামের একটি তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। গুগল, মাইক্রোসফট, জোমাটো’র মতো কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সুযশ দীক্ষিতের।
পৃথিবীর বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর স্থানে ঘুরে বেড়ানো সুযশের এক নেশা। অন্য তরুণদের মতোই তিনি। তবে সম্প্রতি একটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ নিজের রাজত্ব কায়েম করে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন এই যুবক। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার রাজ্যের নাম উল্লেখ করেছেন। রাজ্যের নাম ‘কিংডম অব দিক্ষিত’।
জানা গেছে, সুযশ দীক্ষিত ওই পোস্টে নিজের দেশের জাতীয় পতাকাও প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, জাতীয় প্রাণী হিসেবে টিকটিকির নামও ঘোষণা করেছেন সুযশ দীক্ষিত। সেইসঙ্গে নিজের ভাইকে দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন! বাবাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দেশটির সবচেয়ে সম্মানজনক পদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন সুযশ দীক্ষিত!
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, মিশর ভ্রমণে গিয়েছিলেন এই তরুণ সুযশ দীক্ষিত। সেখান থেকে বির তওয়াইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। মিশর এবং সুদানের মধ্যের এই এলাকাটি কোনো দেশের আওতাতেই পড়ে না।
তিনি জানিয়েছেন, বহু অনুরোধের পর একটি গাড়ি ওই এলাকায় যেতে রাজি হয়েছিলো। যেহেতু জায়গাটি কোনো দেশের মধ্যেই পড়ে না, তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কোনো ব্যবস্থাও সেখানে নেই। মিশরের সেনারা জানিয়েছিলেন যে, সেখানে গেলে সেনা আউটপোস্টের কোনো রকম ছবি তোলা যাবে না। শর্ত দেওয়া হয়েছিল একদিনের মধ্যেই ফিরে আসতে হবে। সেখানে নিয়ে যাওয়া যাবে না কোনো মূল্যবান সামগ্রীও।
শেষ পর্যন্ত সব শর্ত মেনে নিজে ৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছান সুযশ দীক্ষিত। তারপর নিজেকে সেখানকার রাজা ঘোষণা করেন। নিজ দেশের একটি পতাকা এবং কিছু গাছের বীজ বপন করে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে আসেন। এখানের অনুর্বর, মরুভূমিতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদক ও বাসযোগ্য অঞ্চলে পরিণত করবেন বলে দাবি করেছেন সুযশ দীক্ষিত। সেইসঙ্গে বিষয়টিতে স্বীকৃতি পেতে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন সুযশ দীক্ষিত।
তবে ‘কিং দীক্ষিত’ প্রথম ব্যক্তি তা কিন্তু নন, এখানে রাজত্বের দাবিদার হিসেবে ইতিপূর্বে এক আমেরিকান নাগরিক নিজের মেয়েকে এই অঞ্চলের রাজকুমারী বানানোর লক্ষ্যে এখানে আসেন।
যদিও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি এরকম জায়গার অধিকার দাবি করতে পারেন না। কোনো রাজ্য কিংবা দেশই জায়গার দাবিদার হতে পারে। হয়তো সুযশ দীক্ষিত এর ক্ষেত্রেও ঘটবে এমনই পরিণতি।
This post was last modified on নভেম্বর ১৬, ২০১৭ 9:43 am
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…