The Dhaka Times Desk নিউজিল্যান্ডের সাথে আগামী অক্টোবর মাসে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ দলে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দেশসেরা পেশার মাশরাফি মোর্তাজা। এলক্ষ্যে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা তাঁর ফিটনেস ট্রেনিং গতকাল শেষ হয়েছে। বাঁহাঁটু’র ইঞ্জুরি থেকে সদ্য সেরে ওঠা মোর্তাজা বলেছেন, তিনি আগের থেকে অনেক বেশী ওজন ঝরিয়েছেন এবং এখন আরও স্বচ্ছন্দ্যে জোরে বোলিং করতে পারবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলে’র ফাইনাল ম্যাচে মাশরাফি ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হন। এরপর দীর্ঘদিনের জন্য তিনি দলের বাইরে চলে যান। বাংলাদেশ দল যখন শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যস্ত তখন মাশরাফি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন টেবিলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে নিজেকে নিয়ে পুনর্বাসনে ব্যস্ত হয়ে পরেন তিনি। মাশরাফি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ বলে নিশ্চিত করেছেন, এবং দলের হয়ে আবারও নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
“আমি চার কেজি ওজন ঝরিয়েছি, এবং আরও চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন ঝরানো আমার লক্ষ্য”, বলেছেন মাশরাফি। আরও বলেছেন, “৮৪/৮৫ কেজি ওজনে আমি সম্পূর্ণ ফিটনেস সহকারে বোলিং করতে পারবো। দলের ফিজিও বিভব সিং বলেছেন আরও চার সপ্তাহ পরিশ্রম করলেই সেটা ফিরে আসবে।”
২০০১ সালে টেস্টে অভিষেকের পর মাশরাফি ১১ বার ইঞ্জুরি’র কবলে পড়েছেন, এবং প্রতিবারই ফিরে এসেছেন কঠোর পরিশ্রম করে। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিলো তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সিরিজ। “গত পরশু ছোটো ছোটো রান আপে চার-পাঁচ ওভার বোলিংয়ের পর গতকাল পূর্ণ ছয় ওভার বোলিং করেছি, কোনো ব্যাথা অনুভব করিনি”, বলেছেন মাশরাফি।
“কিন্তু এখনও পূর্ণশক্তি দিয়ে বোলিং করার মতো ফিট হয়নি আমার শরীর, আমি এবং দলের ফিজিও সেটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরের আগেই আমি নিজেকে ফিরে পাবো বলে বিশ্বাস আছে।”
Mashrafe will complete 30 years on October 5. The Test game has been closed for a long time, he has limited himself to the T20 and ODI series. Mashrafe was never able to develop as much throughout his career due to injuries, but the cricketing world has seen some of his best performances due to his individual efforts. Mashrafe has shown how terrifying he can be for opposition teams on his day.
নিজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড যখন বাংলাদেশ সফর করে তখন মাশরাফি মাত্র এক ওভার বোলিং করেই ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হন। তাই এবার তিনি খুবই সতর্ক। মাশরাফি বলেন, “এবারের ইঞ্জুরি থেকে সেরে উঠে পুনরায় ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত না হবার ব্যাপারে আমি খুবই সতর্ক থাকবো। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে আর কোনো ইঞ্জুরিতে পড়ে নিজেকে শেষ করতে চাই না।”
Reference: Cricinfo