The Dhaka Times Desk আধুনিক প্রযুক্তি দিনকে দিন মানুষের নানা সুযোগ সৃষ্টি করছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এবার এমন এক বাইক তৈরি করা হয়েছে যা পড়ে না, আবার পার্কও হয় নিজে নিজেই!

কোনও দোষ না থাকলেও অনেক সময় বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে। এবার সেই দুর্ভাবনা থেকে খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে নতুন প্রযুক্তির বাইক হন্ডা। লাস ভেগাস CES 2017-তে হন্ডা একটি নতুন বাইক প্রদর্শনীতে রাখা হয় যাতে রাইডিং অ্যাসিস্ট প্রযুক্তিও রয়েছে। অর্থাত্ বাইকে আপনি শুধু বসে থাকবেন, আর বাইক আপনা থেকেই ব্যালেন্স করে পথ চলবে! শুধু তাই নয়, পার্কিংয়ের জন্য আপনি হেঁটে কোথাও গেলে, তখন বাইক আপনাকে ফলো করবে ও নিজে নিজেই পার্ক হবে!
রাস্তায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাইকের বদনাম রয়েছে সব সময়। পরিবারের বড়রা একে ‘শয়তানের চাকা’ বলে অভিহিত করেন। এর প্রধান কারণ হলো, বাইকে ক্রমাগত ব্যালেন্স বজায় রেখে চালানো বেশ কষ্টকর হয়। আর সে কারণে নানা দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নতুন এই বাইকে নেই সে ধরণের কোনো ঝুক্কি-ঝামেলা।
প্রদর্শনীতে হন্ডা দেখার পর অনেকেই বাইকটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। স্ট্যান্ট করার প্রয়োজন নেই এটিকে। নিজে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকে! কোনো জাইরোস্কোপের সাহায্য ছাড়া এই প্রযুক্তি রীতিমতো এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। হন্ডার অসিমো রোবটে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি? বাইকটি যেদিকে হেলে পড়বে এই প্রযুক্তির সাহায্যের তার উল্টো দিকে কাউন্টার থ্রাস্ট দিয়ে আবার বাইকটিকে সোজা করে দেয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার সুবিধা অনুযায়ী বাইকের হ্যান্ডেলও অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন!
এই নতুন বাইকটির নির্মাণ সংস্থা বলেছে, অদূর ভবিষ্যতে হন্ডা বাইক সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রণেই চলবে। ইতিমধ্যে ইলেকট্রনিক স্টিয়ার ও ওয়্যার সিস্টেম নামে এই নতুন প্রযুক্তিটির ওপর কাজও চলছে। এক কথায় বললে, যে কারণে রাইডার চাইলে সামনের চাকার ওপর বাইকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দিতে পারবে। জ্যামের কারণে রাস্তায় ঘণ্টায় ৩ মাইলের কম স্পিড থাকলে এই বাইক নিজে থেকেই পথ খুঁজে নিয়ে চলা শুরু করবে। বেশি গতিতেও কীভাবে বাইকটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত হতে পারে তা নিয়েও চলছে নানা রকম গবেষণা। হয়তো আরও অনেক কিছুই আমরা দেখতে পাবো। তবে সবকিছু সময়ই বলে দেবে।