দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি দোয়া রয়েছে যে দোয়াটি পবিত্র রমজানে পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিঁপড়ার কামড়ের সমান! কী সেই দোয়াটি? আসুন সেটি আজ জেনে নেওয়া যাক।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য অনেকগুলো দোয়া রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন যে- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আত্নাকে বলেন, “বেরোও।” সে বলে, “না আমি স্বেচ্ছায় বেরোব না।” আল্লাহ্ বলেন, “অনিচ্ছায় হলেও, বেরোও।”
রাসুলুল্লাহ (সা:) আরও বলেছেন- যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার রূহ বেরোয় তখন ওর সঙ্গে দু’জন ফেরেশতা দেখা (অর্থাৎ তা গ্রহণ) করে ও তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে আরোহন করে। এরপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে যে, “পৃথিবী হতে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি ও যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হউক।” অনন্তর একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তারই প্রতিপালকের কাছে চলে যায়। তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের (কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত) জন্য নিয়ে যাও।” অপরদিকে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ এবং অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলেন, “পৃথিবী হতে একটি অপবিত্র রূহের আগমণ ঘটেছে।”
এর সম্বন্ধে বলা হয়-“শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য তাকে নিয়ে যাও।” হযরত আজরাঈল (আ:) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহূর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ্তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন।
আল্লাহ পাক বলেছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব অনেক হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলে জানি। দোয়াটি নিম্নরূপ:
আয়াতুল কুরসী : ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺎَﻟ َ ﻮُﻫ ﺎَّﻟِﺇ َ ﻪَﻟِﺇ ُّ ﻲَﺤْﻟﺍ ُ ﻡﻮُّﻴَﻘْﻟﺍ ﺎَﻟ ٌ ﺔَﻨِﺳ ُ ﻩُﺬُﺧْﺄَﺗ ﺎَﻟَﻭ ُ ﻪَﻟ ٌ ﻡْﻮَﻧ ﺎَﻣ ﻲِﻓ ِ ﺕﺍَﻭﺎَﻤَّﺴﻟﺍ ﺎَﻣَﻭ ﻲِﻓ ْ ﻦَﻣ ِ ﺽْﺭَﺄْﻟﺍ ﺍَﺫ ﻱِﺬَّﻟﺍ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ُ ﻩَﺪْﻨِﻋ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﺎَّﻟِﺇ ُ ﻢَﻠْﻌَﻳ ﺎَﻣ ْ ﻢِﻬﻳِﺪْﻳَﺃ َ ﻦْﻴَﺑ ْ ﻢُﻬَﻔْﻠَﺧ ﺎَﻣَﻭ ﺎَﻟَﻭ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ِ ﻪِﻤْﻠِﻋ ْ ﻦِﻣ ﺎَّﻟِﺇ َ ﺀﺎَﺷ ﺎَﻤِﺑ َ ﻊِﺳَﻭ ُ ﻪُّﻴِﺳْﺮُﻛ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺎَﻟَﻭ ﺎَﻤُﻬُﻈْﻔِﺣ ُ ﻩُﺩﻮُﺌَﻳ َ ﻮُﻫَﻭ ُّ ﻲِﻠَﻌْﻟﺍ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢ
উচ্চারণঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম। (সূরা বাকারঃ ২৫৫)
আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলতঃ ১) আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি হতে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চারদিক হতে তাকে রক্ষা করে।
২) আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।
৩) আয়াতুল কুরসি পড়ে তারপর ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
৪) ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; আর তা হলো মৃত্য। এবং মৃত্যু আযাব এতোই হালকা হয়; যেনো একটি পিপড়ার কামড়ের সমান।
৫) ওজুর পর আয়াতুল কুরসি পড়লে (সহীহ হাদিস) আল্লাহর নিকট ৭০ গুণ মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করা যায়।
This post was last modified on এপ্রিল ৫, ২০২২ 12:31 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ফটো ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকান পপশিল্পী গায়িকা টেইলর সুইফটের খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বহু আগে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসের ভিতর থাকা মহিলা কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলছেন ঝুলে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেমন এক দিকে রয়েছে সংসারের দায়িত্ব, অপরদিকে পেশাগত জায়গায় কাজের…