দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মথ জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের কাছে বিষ্ময়কর। এগুলো প্রথমে একটি শুয়োপোকা হিসেবে জন্মলাভ করে পরবর্তীতে প্রকৃতির নিয়মে তা পূর্ণ মথে পরিণত হয়। পৃথিবীতে যত মথ রয়েছে তার মধ্যে অ্যাটলাস বিশ্বের সবচেয়ে বড় মথ হিসাবে পরিচিত। গ্রিক ভাষায় অ্যাটলাস শব্দটির অর্থ দানব। ধারণা করা হয় অ্যাটলাস মথের আকারের জন্য এমন নামকরণ করা হয়েছে।
পাখির মতো আকৃতির বিশাল এই মথগুলোকে সাধারণত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জঙ্গল এলাকায় দেখা যায়। ডানার দৈর্ঘের দিক থেকে এটিকে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় মথ হিসেবে অভিহিত করা হয়। শুঁয়োপোকা অবস্থায় এরা প্রায় এক ইঞ্চি চওড়া হয়। তবে পূর্ণ মথে পরিণত হলে এদের পাখার দৈর্ঘ গড়ে ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীতে প্রজাপতির চেয়ে মথের সংখ্যাই বেশি।
অনেকেই আবার এটিকে না চিনে প্রজাপতি বলে থাকেন। কিন্তু প্রজাপতি নয়। দেখতে প্রজাপতি এবং মথ প্রায় একই রকম হওয়ায় এমন ভুল হওয়া টাই স্বাভাবিক। অ্যাটলাসের পাখা লাল রঙের হয়ে থাকে। দুই পাখায় কয়েকটি সাদা ত্রিভুজ আকৃতির নকশা রয়েছে। শরীরের রং লাল ও ডোরাকাটা।
সবচেয়ে বড় বিস্ময়কর ব্যাপার হল এর দুই পাখার উপরের কোণের নকশা ভয়ঙ্কর সাপের মাথার মত। ঠিক যেন সাপের মুখ, চোখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। প্রথমে কেউ এটি দেখলে হয়তো ভয় পেতে পারেন। কারণ এর আকৃতি আর গঠন কিছুটা দানব আকৃতির যদিও মূল শরীর স্বাভাবিক মথের মতই তবে এর পাখার কারণের এমন দেখায়।