দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওক গাছে বাস করা ঘাতক শুঁয়োপোকার কারণে জার্মানিতে স্কুল-পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! এদের লোমগুলো শরীরে ব্যাশ এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে এই উপদ্রব হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওক গাছে বাস করা এইসব ঘাতক শুঁয়োপোকায় ছেয়ে গেছে পুরো জার্মানি। এইসব শুঁয়োপোকার লোমগুলো শরীরে ব্যাশ এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, ওক গাছ হতে শুঁয়োপোকাগুলো ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত কয়েক সপ্তাহে জার্মানি জুড়ে অনেকগুলো প্রি-স্কুল, সাঁতারের লেক এবং পুল ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাইনিশে পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোলন শহরের ২৫০টি ওক গাছের সত্তর ভাগই হলো এই শুঁয়োপোকাগুলোর উৎস।
দেশটির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার অন্য শহরগুলো এবং পশ্চিম ব্যাভারিয়াতেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব অঞ্চলে গাছগুলোকে বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পার্ক ও স্কুলের মাঠগুলোও।
একটি ওলফগাঙ আউলেয়ার নামে পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির এক কর্মী বলেছেন ‘এতো খারাপ অবস্থা আগে কখনও হয়নি৷`
জানা যায়, এই লার্ভাগুলোর (শুঁয়োপোকা) লোমের কাঁটায় থাউমেটোপোয়েইন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা চামড়ায় ব্যাশ তৈরি করে। আক্রান্ত স্থান ফুলে যেতে পারে ও আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের অ্যালার্জি এবং অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এর আক্রমণ খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির।
দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পেটার শ্যুৎস বলেছেন, ‘বৃদ্ধ, শিশু এবং যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি।`
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলের শেষে ব্রিটেনেও শুঁয়োপোকার উপদ্রব বেড়ে যায়। তখন ব্রিটিশ স্থানীয় বন কমিশন সতর্কতা জারি করে। জানা যায়, ঠাণ্ডা পাহাড়ি এলাকার চাইতে তুলনামূলক উষ্ণ সমতলভূমি এলাকায় শুঁয়োপোকার উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে।