দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ হতে চলেছেন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, ‘মোদি বিরোধী জোটে মমতার সঙ্গ চাইছে কংগ্রেস। ভারতের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের মূলত মুখ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সেই জোটেরই অংশ হতে চাইছে।’
গত রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছিল নয়াদিল্লিতে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই উপলক্ষে শনিবারই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে অন্যান্য একাধিক অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরাও ওই দিন দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, পদ্মের বিরোধিতায় লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলো কোন পথে চলবে তার একটি রূপরেখা যে এই সফর হতেই স্থির হবে তা পূর্বেই অনুমান করা গিয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যান্য আরও তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক থেকেই তা স্পষ্ট হয়। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।
খবরে বলা হয়েছে, ওই চার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। অপর নেতা কেজরিওয়াল গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ধর্নায় বসেছেন।
এরমধ্যে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। এইদিন চাণক্যপুরীর দ্বিতীয় বঙ্গ ভবনে এসেছিলেন আহমেদ প্যাটেল। তৃণমূল নেত্রীকে ফুল ও এক ঝুড়ি ফল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেসের এই নেতা।
বর্তমান ভারতের জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস নেতার সাক্ষাৎ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বর বক্তব্য, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আহমেদ প্যাটেলের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সোনা গান্ধীর নির্দেশেই আহমেদ প্যাটেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। বিজেপি বিরোধী যে জোট গঠনের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ফ্রন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন। কংগ্রেস অবশ্যই সেই ফ্রন্টের শরিক হতে আগ্রহী।’ এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে আগামীবছরের নির্বাচন নিয়ে ভারতে এখনই রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা শুধু সময়ই বলে দেবে।