দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উন্নত বিশ্বের বিমানগুলোতে কিছু বছর আগে থেকেই যাত্রীরা বিমানে ভ্রমণ করার সময় ইন্টারনেট এবং ফোনে কথা বলার সুবিধা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশে সব মিলে ২৬টি এয়ারলাইন্স ব্যবসা করছে। তবে এদের মধ্যে অনেক নামি-দামি এয়ারলাইন্স থাকা সত্ত্বেও সেবাটি চালু করেনি কেউই। সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ইন্টারনেট এবং ফোনে কথা বলার সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
ফলে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরাও এখন থেকে বিমানে ভ্রমণরত অবস্থায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস, ই-মেইল চেক সহ ইচ্ছে মত নেট ব্রাউজিং করতে পারবে। এছাড়া থাকবে দেশ-বিদেশে ফোনে কথা বলা সহ ৯টি চ্যানেলে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার দেখার সুযোগ।
সব বিমানে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। কেবলমাত্র আমেরিকার উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর ড্রিমলাইনার বিমানগুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায়। যা এরইমধ্যে বিশ্বে আকাশপথে যাত্রীদের দিয়েছ নতুন চমক। এবার সে স্বপ্নযাত্রায় অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশে বিমান এয়ারলাইন্সের যাত্রীরাও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজের ভাষ্যমত্ বিমানের প্রত্যেক যাত্রী বিনামূল্যে ২০ মেগাবাইট ওয়াইফাই ডেটা থ্রীজি স্পীডে তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ব্যবহার করতে পারবেন। বিমানের বহরে বোয়িং-এর তৈরি চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হতে চলেছে। যার প্রথমটি আগামী আগস্ট মাসে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। দ্বিতীয়টি আসবে নভেম্বরে। পরের দুটি আগামী বছর আনা হবে। ফলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের এবং বিদেশী যাত্রীদের বিমান ভ্রমণ আরো আনন্দদায়ক এবং রোমাঞ্চকর করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রায়াজনীয় অনুমোদন নিয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশনের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হবে। প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশন বিশ্বের ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে এই সেবা দিয়ে থাকে।