দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবাই চাই নিজেকে ফিটফাট রাখতে। আর ফিটফাট থাকতে হলে ইস্ত্রি করা পোশাকের কদর অনেক বেশি। তবে সময় সল্পতার কারণে অনেক সময় ইস্ত্রি করার সময় থাকে না বা বিদ্যুৎ না থাকায় ইস্ত্রি করা যায় না। তাহলে কাপড়ের কুচকানো ভাঁজ কিভাবে তুলবেন? আজ আমরা এমনি কিছু কৌশল শিখবো যা বিদ্যুৎ না থাকা বা জরুরী মূহর্তে ইস্ত্রি ছাড়ায় কাপড়ের ভাঁজ তুলতে সাহায্য করবে।
ভিনিগারের জাদুঃ
কষ্ট ছাড়া ভাঁজ তুলতে একটি স্প্রে করার বোতলে এক ভাগ ভিনিগার আর তিনভাগ গরম পানি ভরে নিন। এখন আপনার পোশাকের পুরোটাতে ভালো করে বোতলের পানি দিয়ে স্প্রে করে নিন। পোশাকটি শুকিয়ে যাবার পর দেখবেন কোথাও কুঁচকানো ভাব বা ভাঁজ নেই। শুধু তাই নয় ভিনিগারের কোনো গন্ধও থাকবেনা পোশাকে। পোশাক পরে আয়নায় দেখুন, আপনাকে কেমন ফিটফাট লাগছে।
পিতল বা স্টিলের পাত্রঃ
বাসায় কম বেশি সবারই পিতল বা স্টিলের পাত্র রয়েছে। পিতল বা স্টিলের পাত্রে গরম পানি কিছুক্ষন রেখে সেই পাত্রটি আপনার কুঁচকানো পোশাকের উপর আস্তে আস্তে ডলুন। দেখবেন জাদুর মত কাপড়ের ভাঁজ উধাও হয়ে যাবে।
হেয়ার স্ট্রেটনারঃ
হাতের কাছে হেয়ার স্ট্রেটনার রয়েছে? তাহলে আর চিন্তা কিসের। কুঁচকানো অংশে হালকা পানি দিয়ে সেখানে হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে পোশাকের ভাঁজ সরিয়ে একেবারে পরিপাটি করে নেওয়া যায়।
গরম পানির ধোয়াঃ
ফুটন্ত পানি থেকে যে জলীয় বাষ্প বা ধোয়া নির্গত হয় সেই ধোয়ার উপর কিছুক্ষন পোশাকটি ধরে রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন দেখবেন সব ভাঁজ হারিয়ে গেছে।
ভেজা তোয়ালেঃ
কুঁচকানো কাপড়ের উপর একটা ভেজা তোয়ালে বিছিয়ে দিন। তারপর বার কয়েক ভাঁজ পড়া স্থানের উপর চাপ দিয়ে তোয়ালে তুলে ফেলুন। এবার পোশাকটি একটা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে শুকিয়ে নিন। ভাঁজগুলো সোজা হয়ে যাবে।
বাথরুমে গরম পানির ভাপঃ
গোসল করতে হবে আবার শার্টটাও ইস্ত্রি করতে হবে, অথচ সময় নেই? এই অবস্থায় ভাঁজ করা শার্ট বা অন্যকিছু বাথরুমের কোথাও ঝুলিয়ে রেখে দিন। এবার গরম আর ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে আরাম করে গোসল করে নিন। গোসল শেষে দেখবেন গরম পানির ভাপে শার্টের সব ভাঁজ সোজা হয়ে গেছে।
এভাবে আপনি জরুরি মূহুর্তে বা বিদ্যুৎ না থাকায় ইস্ত্রি ছাড়ায় কাপড় সোজা করার কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।