দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ আগস্ট ২০১৮ খৃস্টাব্দ, ২ ভাদ্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলহজ্ব ১৪৩৯ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি দেখছেন সেটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটিকে বলা হয় মতিঝিল ‘কালা মসজিদ’। এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতের মুর্জিদাবাদে।
নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠ জামাতা তথা ঘসেটি বেগমের (মেহেরুন্নেসা) স্বামী নবাব নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ সুদৃশ্য মতিঝিলের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ১৭৫০ সালে ‘কালা মসজিদ’ নামে এই মসজিদ নির্মাণ করেন, যে মসজিদটি মতিঝিল মসজিদ নামেও পরিচিত।
মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। এছাড়া মসজিদ চত্বরে তিনি মাদ্রাসা ও অতিথিশালাও (লঙ্গরখানা) নির্মাণ করেছিলেন। দরিদ্র ও আর্তের সেবায় তিনি মাসে ৩৭,০০০ টাকা করে ব্যয় করতেন। কথিত রয়েছে, মতিঝিল মসজিদে সিরাজদ্দৌলার দাদা আলিবর্দি খাঁ নিয়মিত নামাজ পড়তে আসতেন। দাদার হাত ধরে ছোট্ট সিরাজও মতিঝিল মসজিদে নামাজে আসতেন।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, আলিবর্দির বড় মেয়ে ঘসেটি বেগম ছিলেন নিঃসন্তান। যে কারণে সিরাজের ছোট ভাই এক্রামুদ্দৌলাকে দত্তক নিয়ে তিনি সন্তান স্নেহে লালন-পালন করতেন। খুব অল্প বয়সে বসন্ত রোগে মৃত্যু হয় এক্রামুদ্দৌলার। মতিঝিল মসজিদ চত্বরে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। এক্রামুদ্দৌলার মৃত্যু শোক সামলাতে না পেরে পরবর্তীতে শোথরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ঘসেটি বেগমের স্বামী নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ। মতিঝিল মসজিদ চত্বরে পাশাপাশি তাদের সমাধি রয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রাচীরবেষ্টিত চারটি সমাধি রয়েছে। ২টি শ্বেতপাথরের, ১টি কালো পাথরের এবং ১টি ইটের তৈরি। শ্বেত পাথরের সমাধি দুটি নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ এবং এক্রামুদ্দৌলার সমাধি। আর কালো পাথরের সমাধিটি এক্রামুদ্দৌলার শিক্ষকের। ইটের সমাধিটি এক্রামুদ্দৌলার ধাত্রীর সমাধি। তাছাড়াও প্রাচীরের বাইরে একটি ইটের সমাধি রয়েছে, সেটি নওয়াজেস মহম্মদ খাঁর সেনাপতি সমসের আলী খাঁর সমাধি। বর্তমানে এই মসজিদটি ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত একটি মসজিদ। ঐতিহাসিক মসজিদের কারণে বহু পর্যটকরা এখানে আসেন এবং এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ঘুরে ফিরে দেখেন।
ছবি ও তথ্য: http://www.historicalmurshidabad.com এর সৌজন্যে।