দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রাম গোয়ালখালী, থানা কেরানীগঞ্জ, জেলা ঢাকা। গ্রামের ছোট্ট রাস্তার দুই পাশে দু’টো দোচালা টিনের ঘর, একটা বেশ নতুন, আরেকটা পুরাতন। অনেকটা মেকশিফট আয়োজন, ছোট ছোট বেঞ্চ টেবিল পাতা। ছুটির দিনের সাইক্লিস্ট আর ভোজনরসিকদের ভিড়ে গমগম করে জায়গাটা। রাস্তার দুই পাশে দুটি টিনের ঘর। একটি পুরোনো আর একটি নতুন এবং পরিচ্ছন্নও। ছোট চার-পাঁচখানা টেবিল পাতা, বসার জন্য আছে বেঞ্চ। প্রায় সময়েই ভরা থাকে দোকান দুটি। ইনসার আলী বসেন পুরাতন দোকানেই। ইনসার আলীর ২ বছর বয়সী এই ব্যবসায় নতুন ঘরটি তৈরি করে দিয়েছে ‘হলিডে রাইডার্স’ নামে একটি সাইক্লিস্ট দল। প্রতিদিনের তুলনায় শুক্রবারেই ব্যবসাটা জমে বেশি। ১০০ প্লেট বা তারও বেশি খাবার বিক্রি হয় এই দিন। সাইক্লিস্টরাই তাঁর এখানে খেতে আসেন বেশি।
হোটেলের নামঃ সোহানা হোটেল। মালিক ইনসার আলী, বছর দুয়েক হয় ব্যতিক্রমধর্মী একটা সিম্পল আইডিয়া নিয়ে হোটেলটা খুলেছেন তাঁর মেয়ের নামে। রান্নাবান্না সামলান তার পরিবারের সদস্যরাই। আনুমানিক ৫০ বছরের এই ইনসার আলীর সংসারে ৫ সদস্য। ক্লাস সেভেনে পড়া ছোট মেয়ে সোহানার নাম অনুসারে দোকানের নাম রাখা হয়েছে সোহানা হোটেল। আর ছোট ছেলে পড়ে ক্লাস থ্রি তে। মাঝে মাঝে এই ছোট ছেলে মেয়ে দুটি দোকানে ইনসার আলীকে সাহায্য করেন। আর রান্নার কাজ করেন ইনসার আলী তার স্ত্রীকে সাথে নিয়েই।
খুদের ভাকা বা খুদের খিচুড়ি, যে আইটেমটার জন্য ইনসার আলী আর তাঁর সোহানা হোটেল এখন অনেক নামকরা হয়ে গেছে,সাথে দশ রকমের ভর্তা আর ডিম। চাইলে ভুনা মুরগীও নেয়া যায়, অনেকে অবশ্য স্রেফ মুরগীর ঝোলটুকু নিলে চাইতে পারেন। সব মিলিয়ে একটা দুর্দান্ত খাবারের অভিজ্ঞতা। সাধারণ চাল ঝাড়ার পর ভাঙা ছোট ছোট যে চালটা পাওয়া যায়, সেটাই খুদ। এই খুদকে হালকা মসলা-তেলে পোলাও বা খিচুড়ির মত করে রান্না করা হয়, কেরানীগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় যেটাকে বলে ‘খুদের ভাকা’ । পরিবেশনের সময়ে প্লেটে প্রথমে দেওয়া হয় খুদের ভাকা, এরপর প্লেটের চারপাশে সাজিয়ে দেওয়া হয় নানা রকম ভর্তা – চিংড়ি, শুঁটকি, বেগুন, আলু, শুকনা-কাঁচা মরিচসহ ১০ পদের ভর্তা, এর সাথে দেয়া আসবে ডিম ভাজা অথবা ডিম দোপেয়াজা। আর এমন স্বাদের খাবারের পসরা নিয়ে বসে আছেন সোহানা হোটেল। অবশ্য সোহানা হোটেল এই হোটেলের মালিক ইনসার আলীর নামে বেশি পরিচিত। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরে ইনসার আলীর হোটেল। এলাকার লোকজন তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকে এমনকি ঢাকা থেকে যান তরুণ-তরুণীরাসহ নানা বয়সের মানুষ।
সবার মনেই প্রশ্ন হবে প্রতি প্লেটের দাম কত?
মাত্র-৪০ টাকা।
যাবার আগে ফোন করেও যাওয়া যায়,
মোবাইল নংঃ 01757291236 / 01853639411 / 01987746987
যাবার পথঃ সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা হয়ে রুহিতপুর, গোয়ালখালী বাজার। শেয়ারড সিএনজি পাওয়া যাবে, কিছুটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়া লাগতে পারে তবে সহজ উপায় হচ্ছে মোহাম্মদপুর থেকেই একটা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে চলে যাওয়া।
Location : Google Map
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮ 3:57 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না। কোন ভিটামিন কিংবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল্লু অর্জুন অভিনীত বলিউডের বহুল আলোচিত তেলেগু সিনেমা ‘পুষ্পা’। কিছুদিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যায় একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়ি করে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ কার্তিক ১৪৩১…