দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের দৈহিক সৌন্দর্য না কর্ম কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? আমরা মুখে যদিও বলি কর্মই আসল তবুও একজন সুশ্রী এবং একজন কুশ্রী সহকর্মীর সাথে আমাদের ব্যবহারের তফাত হয়। কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে মানুষকে কি দিয়ে বিবেচনা করা হবে তার কাজ দিয়ে, না তার দৈহিক সৌন্দর্য দিয়ে এ রকম প্রশ্নে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেশষণায় দেখা গেছে কুশ্রী মানুষের প্রভাব অফিসে কম হয় এবং তাদেরকে সহজে দমিয়ে রাখা যায়।
প্রধান গবেষক, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ব্রেন্ট স্কট বলেন যদিও আমরা নিজেদের পেশাদার এবং কর্মক্ষেত্রে পরিপক্ক বলে দাবি করি তারপরও কুশ্রী মানুষের সাথে অভদ্র আচরণ অপ্রিয় সত্য। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে স্কুলে একটি সুন্দর ছেলে বা মেয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এরকম ব্যাপার অফিসেও ঘটে।
গবেষকরা দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় হাসপাতালের ১১৪ জন কর্মীর উপর গবেষণা করেন। তারা তাদের সহকর্মীর সাথে কি রকম নিষ্ঠুর আচরণ, মনোকষ্ট দেয়া বা উপহাস করে। শেষে সেই ১১৪ জন কর্মীর ছবি তোলা হয়। পরে এই ছবি দেখিয়ে চার জন অপরিচিত লোকের মাধ্যমে তাদের সৌন্দর্য পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় বয়স, লিঙ্গ ও কাজের সময় বিবেচনা করে দেখা যায় কম সুশ্রী এবং অমত পোষনকারী সহকর্মীর সাথে অন্যান্য সাধারণ সহকর্মীর মত আচরণ করা হয় না। গবেষকরা কর্মীদের স্বামী, স্ত্রী বা বন্ধুত্বের ভিত্তিতেও গবেষণা করে দেখেন যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সহকর্মীদের সাথে এত বেশি অভদ্র আচরণ করা হয় না।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল