দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাঝ নদীতে কফি তে চুমুক দিতে দিতে উথাল পাতাল মেঘনা এর অপরূপ শোভা দেখা হতে পারে আপনার জন্য স্মরণীয় একটি দিন। আর পূর্ণিমা এর রাতে লঞ্চ এর ফ্রন্ট ডেক বা ছাদে বসে চন্দ্র অবগাহন মনে হতে পারে আপনার কাছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাত । চাঁদ এর রুপালি আলো পানির সাথে রিফ্লেকশন ও লঞ্চ এর হাল এর পানি কাটার ছলাত ছলাত শব্দ আপনাকে নিয়ে যাবে এক ভিন্ন জগতে । না একদম ই বানিয়ে বলছি না আমি । চলুন জেনে নিই কিভাবে যাবেন।
ঢাকা সদরঘাট এর লাল কুঠি ঘাট থেকে বর্তমানে সকাল ৬ টা থেকেই লঞ্চ আছে আর পরবর্তী লঞ্চ ৭.২০ এ সোনারতরী ।
এরপর ৮.০০, ৮.৩৫, ৯.১৫, ৯.৫০, ১০.৫০, ১১.৪৫ থেকে রাত ১২.৩০ নির্ধারিত সময়েই লঞ্চ ছেড়ে যায় চাঁদপুর এর উদ্দেশ্যে । চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে বের হলেই দেখতে পাবেন সিএনজি, অটো রিক্সা। সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় চড়ে চলে যাবেন বড় ষ্টেশনে (স্টেশন পার্ক) নামে পরিচিত ভাড়া ১০ টাকা,নামিয়ে দেবে পর্যটন কেন্দ্রের সামনে। যায়গাটা এখনো নির্মানাধীন। তবে শেষ হয়ে গেলে মোটামুটি সুন্দর একটা যায়গা হবে। আছে রক্তধারা নামে একটি ভাস্কর্য যা ফটো তে দেখতে পারছেন । ওখানে চটপটি, ফুসকা,ডিম, মুড়ি পাবেন হালকা নাস্তার জন্য।
বসে আড্ডা দেওয়ার মত ভালো একটা যায়গা জেলা পর্যটন কেন্দ্র। অনায়াসে এক দেড় ঘন্টা কাটিয়ে উঠা যায়।
কিন্তু আপনাকে তো উঠতেই হবে আড্ডা ছেড়ে কারন আপনাকে যেতে হবে চাঁদপুরের সবচেয়ে সুন্দর যায়গা তিন নদীর মোহনা পার হয়ে নদীর চরে।আর নৌকা ভ্রমণটা মনে রাখবার মত ভাল লাগা গ্যারান্টেড। (চাঁদপুর জেলা প্রশাসন প্রদত্ত লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে নিন)
নৌকা ভারা আপ-ডাউন ৫০ টাকা প্রতিজন।(রিজারভ ৫০০ টাকা)
এবার,আপনার পেট চোঁ চোঁ করবে। নিকটস্থ ভাতের হোটেলে যান। ভাত,মাছ,মুরগী পাবেন। ইলিশ মাছ ভাজা আর নদীর ছোট মাছের তরকারি,আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে খেতে পারেন। অনেক ভালো লাগবে। আমারা ১ টি ইলিশ এর ৩ টুকরো ১০০ টাকা দিয়ে লাইভ ভাজিয়েছিলাম । জনপ্রতি ২০০-২৫০ এর মধ্যে বেশ ভালো খেতে পারবেন।
খাওয়া – দাওয়া পর্ব শেষ হলে সোজা চলে যান রেল স্টেশন ,ট্রেন দেখতে ভাল লাগলে দেখুন না হলে ছবি তুলুন , আড্ডা দিন ভাল লাগবে যায়গাটা। এছাড়া ওয়ান মিনিট আইস্ক্রিম (কালীবাড়ি নামক জায়গা থেকে) খেয়ে আসতে পারেন।
এইবার ফিরার পালা, লঞ্চ ঘাটে চলে আসুন রাত পর্যন্ত লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় পছন্দমত উঠে পরুন ।
যারা সকালে গিয়ে বিকালে ফিরতে চান বিকালে ৩.৪০, ৫.০০, বা সন্ধ্যা ৬.০০ ও ৭.০০ এর লঞ্চে ফিরতে পারেন।
*লঞ্চে চেয়ার ভাড়া – ১৫০ টাকা
*ডাবল কেবিন – ৮০০ টাকা।
বিঃদ্রঃ ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে পানির বোতল, পলিথিন ফেলবেন না। দেশটা তো আমাদের, আমরাই যদি নোংরা করি তাহলে রক্ষা করবে কে? আপনার ভ্রমন হোক নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন 🙂