দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক বিস্ময়কর ঘটনা। হাজার হাজার মাইল উপর থেকে পড়েও কিভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব! কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে বিমান থেকে পড়েও বেঁচে থাকলো একটি কুকুর!
আমরা ভালো করেই জানি যে, কোনো উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ার পর সাধারণত কোনো মানুষ বা পোষা প্রাণীর বেঁচে থাকার কথাই নয়। যে ধরনের উচ্চতায় বিমান উড়তে থাকে, স্বাভাবিকভাবেই অতো উঁচু থেকে পড়ার পর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তবে সম্প্রতি এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে চিলিতে। সেখানে উড়ন্ত বিমান হতে পড়ে গিয়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি কুকুর!
চিলির একজন সম্ভ্রান্ত ধন কুবের হলেন জেনিস কেভিয়ারেস। বেশ কিছুদিন পূর্বে ব্যবসায়িক কাজের জন্য সান্টিয়াগো হতে ইকুইকিউ শহরে যান তিনি। শহরটি দেশটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। জরুরি অবস্থায় কাজের চাপে তিনি প্রিয় কুকুরকে সঙ্গে নিতে ভুলে যান। পরে বন্ধু লিহিয়া গ্যালার্ডোকে দায়িত্ব দেন কুকুরকে সঙ্গে করে আনার জন্য। তো মালিকের কাছে যাবার জন্য কুকুর গ্যাসপার রওনা দেয় তার বন্ধু গ্যালার্ডোর সঙ্গে। তবে পথে ঘটলো এক বিপত্তি। গ্যালার্ডো অন্য ক্রুদের সঙ্গে বিমানে বসলেন নিজের আসনটিতে। অপরদিকে পেট অ্যানিমালদের সংরক্ষিত স্থানে উঠলো কুকুর গ্যাসপার। শুরু হলো বিমানের যাত্রা। বিমান যখন ভয়ঙ্কর মরুভূমি আতাকামা পাড়ি দিচ্ছিল তখন হঠাৎ কীভাবে যেনো সেখান থেকে পড়ে যায় কুকুর গ্যাসপার। গ্যালার্ডো ফিরে গিয়ে বন্ধুকে জানালেন পুরো বিষয়টি।
প্রিয় কুকুরটিকে হারানোর শোকে কেভিয়ারেস তখন আবেগাপ্লুত অবস্থা। জরুরি সহায়তা নিয়ে কয়েকজন সেনা সদস্যের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রওনা দিলেন আতাকামার উদ্দেশ্যে। এমনিতে মরুভমি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান, তার উপর ভীষণ গরম ও বিপদসঙ্কুলও। সব কিছু পেছনে ফেলে টানা ৬ দিন সেই মরুভূমিতে চললো অভিযান। অবশেষে ৭ম দিনে গিয়ে কেভিয়ারেস দলবলসহ খুঁজে পাওয়া গেলো তার কুকুর গ্যাসপারকে।
কুকুরটি শুধু বেঁচে আছে তা নয়, বরং রয়েছে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক। এরকম বৈরী পরিবেশে আতাকামা মরুভূমিতে বিমান হতে পড়েও কুকুরটি কিভাবে বেঁচে থাকলো তা সত্যিই এক রহস্য! তার উপর খাদ্য ও পানিহীন স্থানে এই ক’দিন কীভাবে সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলো সেটিই ভাববার বিষয়।
গ্যাসপারকে ফিরে পাওয়ার আনন্দেই কেভিয়ারেস আটখানা! পরে গণমাধ্যমে ভাইরাল হয় কুকুরটির বেঁচে থাকার এবং উদ্ধারের অলৌকিক কাহিনী।