দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্বে দিনের পর আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছেই। আত্মহত্যায় প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে প্রাণ ঝরে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার তথ্য মতে, প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যুদ্ধক্ষেত্রের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ মানুষ মারা যান আত্মহত্যা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায, সমগ্র পৃথিবীতে সন্ত্রাস, যুদ্ধের তারণে অনেক মানুষ নিহত হয়ে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো তার থেকেও বেশি মানুষ আত্মহত্যার কারণে মারা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেছিল ৮ লাখ ১৭ হাজার ১৪৮ জন মানুষ। অপরদিকে সন্ত্রাস ও বিবিধ কারণে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৪। বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার সংখ্যাতে রয়েছে যথেষ্ট ভিন্নতর। যেমন ভারত, ইউকে, ইউএসের মতো দেশগুলিলোতে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
২০১৫ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) রির্পোট অনুযায়ী দেখা যায় যে, ভারতে ১.৩৩ লক্ষ মানুষ সুইসাইড করেছিল, যাদের মধ্যে ৪২,০৮৮ জনই নারী।
প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার বিষয়টি ভীষণ জটিল একটি বিষয়। হতাশা, আঘাত, অতিরিক্ত চাপ, পারিবারিক বিভিন্ন কারণ ইত্যাদি বিষয়গুলির মিলিত প্রভাব সুইসাইডের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। সুইসাইডের এই তথ্য অনেকটা অ্যালার্মের মতোই। বেশ কিছু এনজিও এই বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা চালিয়েছে। মানুষকে হতাশা, আঘাতের মতো বিষয়গুলি থেহতে সরিয়ে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে এনজিওগুলো সাহায্য করে আসছে৷। কিন্তু তারপরও যেনো আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে না।