দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই হয়তো খেয়ার করেছি পুরুষদের ডানদিকে ও মহিলাদের বাঁ দিকে শার্টের বোতাম থাকে। কিন্তু কেনো? তা কী আমরা কখনও ভেবে দেখেছি? আজ জেনে নিন সেই রহস্য।
আপনি শার্ট পরার সময় কখনও কী ভেবেছেন আপনার ও আপনার স্ত্রীর শার্টের বোতাম উল্টোদিকে থাকে কেনো? পুরুষদের ডান দিকে ও মহিলাদের থাকে বাঁ দিকে। আপনি মনেহয় কখনও বিষয়টি লক্ষ্যই করেননি। ব্যস্ত জীবনে ছোট বিষয়টি লক্ষ্য করার উপায়ও হয়তো নেই। তবে এমনি হয় কেনো? বিষয়টি নিয়ে অনেক রকম মতামত রয়েছে।
ইতিহাসবিদরা মনে করেন, বোতামের চল শুরু হয় সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকে। সে সময় ঝিনুকের খোল দিয়ে বোতাম বানানো হতো। তারপর অনেক বছর পর অর্থাৎ ১৩ শতকে এসে জার্মানিতে ছিদ্রযুক্ত বোতামের প্রচলন শুরু হয়।
তখন কেবলমাত্র ধনীদেরই শার্টে বোতাম থাকতো। পুরুষরা নিজেরা শার্ট পরলেও ধনী মহিলাদের শার্ট পরাবার জন্য আলাদা করে দাসী নিযুক্ত করা থাকতো। দাসীদের জামা পরানোর সুবিধার্থেই মহিলাদের শার্টের বোতাম নাকি বাঁ দিকে লাগানো শুরু হয় বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ। যেহেতু পুরুষরা নিজেরাই জামা পরতেন, সেই হেতু তাদের শার্টের বোতাম ডান দিকে লাগানো থাকতো।
তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষই ডানহাতি। অর্থাৎ ডান হাতেই বেশি ও কঠিন কাজ করতে অভ্যস্ত মানুষরা। পুরুষরা যেহেতু ডান হাতে তলোয়ার রাখতেন, তাই বাঁ হাতে তাদের পোশাকটি খুলতে সুবিধা হতো। আরেকটি বিষয় হলো শিশুদের স্তন্যপান করানোর সময় ডান হাত বেশিরভাগ সময় মুক্ত রাখেন মহিলারা। তাই বাঁ দিকে বোতাম থাকলে মহিলাদের বেশ সুবিধা হয়।
আমরা জানি ডান হাতের থেকে বাঁ হাত হলো অধস্তন— এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে বহু যুগ ধরেই। সে কারণেই নাকি মহিলাদের শার্টের বোতাম বাঁ দিকে রাখা হয়ে আসছে সেই যুগ হতেই। অর্থাৎ মহিলারা, পুরুষদের অধীন বা মহিলাদের স্থান সর্বদাই পুরুষদের নীচে, তা বোঝানোর জন্যই নাকি এই ব্যবস্থা!
কারও কারও মতে আবার, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের নির্দেশেই নাতি এমন ব্যবস্থার শুরু। কেনোই বা নেপোলিয়ন তাঁর একটি হাত সব সময় শার্টের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতেন? মহিলারা তাঁকে নকল করে নাকি ব্যঙ্গও করতেন। সে বিষয়টি বন্ধ করার জন্যই নাকি নেপোলিয়ন নির্দেশ দেন মহিলাদের শার্টের বোতাম উল্টোদিকে অর্থাৎ বাঁ দিকে লাগানোর। এমন নানা যুক্তি দেখানো হয়েছে ডান দিক আর বাঁ দিকে শার্টের বোতাম রাখার বিষয়ে।