দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বলিউডের ‘ম্যাসলম্যান’ খ্যাত সালমান খান ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে সর্বদা ওয়াকিবহাল থাকেন এবং ইন্টারনেটে তার বিচরণও প্রচুর। ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস মিলিয়ে তার ভক্ত এবং অনুসারীর সংখ্যা তিন কোটির অধিক। ২০০২ সালে সালমান খানের গাড়ির ধাক্কায় ফুটপাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়। ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে ওয়েব সাইট খুললেন সালমান খান।
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিরুদ্ধে করা ২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান মামলাটি বর্তমান সময়ে মিডিয়ায় বেশ আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে সালমান খান এবং তার পরিবারের ভাষ্যমতে জানা যায়, উক্ত মামলা সম্পর্কে মিডিয়ায় ভুল ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। তাই মামলা প্রকৃত তথ্য ও মামলার গতি প্রকৃতি ভক্ত এবং জনসম্মুখে তুলে ধরতে একটি ওয়েবসাইট খুলেন এই অভিনেতা যার এড্রেস salmankhanfiles.com।
ওয়েব সাইটটি খোলার প্রসঙ্গে সালমানের বক্তব্য হতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে আদালত কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এসব মামলা সম্পর্কিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এইসবে প্রতিবেদনে প্রায়ই ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে এবং প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে যা অভিনেতার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত খ্যাতি নষ্টের পিছনের কারণ বলা যায়। ওয়েবসাইটটিতে তার বিরুদ্ধে করা মামলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সবাই জানতে পারবে এবং তার উকিলদের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে সকল মামলার তথ্য আপডেট জানানো হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি তার সম্মান রয়েছে, মামলাসমূহের কোন অংশ প্রভাবিত করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়নি বরং একদম স্পষ্ট কথা হচ্ছে ওয়েবসাইট মামলাগুলো সম্পর্কে সত্য তথ্য এবং মামলার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জানাতে খোলা হয়েছে এবং গণমাধ্যম অথবা সাধারণ ভক্তবৃন্দ মামলার তথ্য যেন যাচাই বাছাই করতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইটে ঢুকলেই যে কারও চোখে পড়বে মামলা সম্পর্কে আপডেট তথ্য। গত ২৪ জুন হত্যা মামলায় সালমান খানের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের সেশন কোর্ট। সালমান খানের আইনজীবিরা উচ্চ আদালতে মামলা আবেদন খারিজকে চ্যালেঞ্জ করবেন। আগামী ১৩ই জুলাই সালমান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটির চার্জশিট তালিকাভুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বান্দ্রা উপশহরে সালমান খানের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে পড়ে এবং তার গাড়ির ধাক্কায় ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হয়। ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলা ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় নিষ্পত্তি হলে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ আপুন কা চয়েজ