দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেট এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহুর্ত চলা ভার। বর্তমান বিশ্বের সাথে যোগাযোগ ঠিক রাখতে ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। তবে অফিস বা বাসায় একাধিক ডিভাইস ইন্টারনেটের সংযোগ করতে ওয়াইফাই কেনা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই হয়ত ভাবছেন একটি ওয়াইফাই রাউটার ক্রয় করবেন।
কেন ওয়াইফাই রাউটার কিনবেন? বাসায় বা অফিসে অনেকগুলো কম্পিউটার ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে কাজ করতে হলে প্রতিটি কম্পিউটারে ব্রডব্র্যান্ড লাইনের তার টেনে সংযোগ দেওয়া অনেকটা ঝামেলার কাজ। তার উপর একাধিক তার বাসার সৌন্দর্য্য নষ্ট করে। আপনার বাসায় বা অফিসে ওয়াইফাই রাউটার থাকলে সকলে তারবিহীন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ওয়াইফাই রাউটার ক্রয়ের আগে যে বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে আপনাকে আবার ঝামেলায় পরতে হবে। তাই আজ আমরা আলোচনা করব ওয়াইফাই রাউটার ক্রয়ের আগে আপনাকে যে তথ্যগুলো জানা জরুরী।
১। নেটওয়ার্ক কাভারেজঃ
প্রথমেই ঠিক করুন আপনার বাসার আয়তন কত। অর্থাৎ আপনার বাসা কত স্কোয়ারফিট। কারণ আপনার বাসা বা অফসে কি পরিমাণ জায়গা জুড়ে নেটওয়ার্ক কাভারেজ লাগবে তার উপর ভিত্তি করেই রাউটার কেনা উচিৎ। এবং আপনি রাউটারটি কোথায় রাখবেন তা থেকে ডিভাইসগুলো কতটা দুরুত্বে থাকবে তা নির্ধারন করে নিন।
২। রাউটারের গিগাহার্টজ ব্যান্ডঃ
সাধারণত বাজারে সিঙ্গেল, ডুয়েল এবং ট্রাই ব্যান্ড রাউটার হয়ে থাকে। বেশিরভাগ রাউটারই সিঙ্গেল নেটওয়ার্ক থাকে অর্থাৎ ২.৪ গিগাহার্টজ ক্ষমতা সম্পন্ন। ডুয়েল ব্যান্ডে ২.৪ গিগাহার্টজের পাশাপাশি ৫ গিগাহার্টজের আরও একটি নেটওয়ার্ক থাকে।ডুয়েল ব্যান্ডের রাউটারের সুবিধা হচ্ছে এটি অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। তবে দেওয়াল ভেদ করে ভাল সিগন্যাল পাওয়া ঝামেলা হয়ে যায়। বাসা বা ছোট অফিসে সিঙ্গেল, ডুয়েল ব্যান্ডের রাউটারই যথেষ্ট। কিন্তু দেওয়াল ভেদ করে এবং অনেকজন অর্থাৎ ১০ জনের বেশি ডিভাইস হলে এবং ট্রাই ব্যান্ডের রাউটার ভাল কাজ করে। এতে ২.৪ গিগাহার্টজের পাশাপাশি ৫ গিগাহার্টজের আরও দুইটি নেটওয়ার্ক থাকে।
৩। ৩জি ৪জি মডেম সাপোর্টঃ
কিছু রাউটার রয়েছে যা মডেম সাপোর্টেড। অর্থাৎ ওয়ান পোর্টের পাশাপাশি ইউএসবি পোর্ট থাকে। তাই ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি আপনি মডেম ব্যবহার করেও ইন্টারনেট সংযোগ করতে পারবেন। তবে রাউটারে মডেম অটো কানেক্ট করার ক্যাপাবিলিটি থাকতে হবে।
৪। ADSL সাপোর্টঃ
বিটিসিএল লাইন থেকে ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ দেওয়ার জন্য আপনার রাউটারে অবশ্যই ADSL সাপোর্ট থাকতে হবে।
৫। ক্লাউড সাপোর্টঃ
আপনি বাসার বাইরে থেকেও রাউটার কন্ট্রোল করতে চাইলে আপনার রাউটারে ক্লাউড সাপোর্ট থাকতে হবে।
৬। VPN সাপোর্টঃ
আপনার বাসা কুষ্টিয়া। আপনি হয়ত বাসার প্রাইভেট আইপি তে ফাইল সার্ভার হোস্ট করেছেন। এখন বিষয় হচ্ছে আপনি চাচ্ছেন ঢাকা থেকে আপনার পরিচিত কেউ আপনার সার্ভারটি এক্সেস করুক। এই সুবিধা পেতে হলে আপনার রাউটারটি অবশ্যই VPN সাপোর্টেড হতে হবে।
৭। পোর্টাবিলিটিঃ
কিছু রাউটারে মোবাইলের সিম ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। এমন রাউটারে একটি ব্যাটারী থাকে যা চার্জ দিয়ে বাসার বাইরেও রাউটার ব্যবহার করা যায়।