দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা নিয়ে ট্রাম্পকে সত্য প্রকাশের আহ্বান খাশোগির বাগদত্তা খাদিজা চেঙ্গিস। লন্ডনে ওয়াশিংটন পোস্টের এক কলামিস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র এক খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সৌদি রাজতন্ত্র বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যা সম্পর্কে সত্য প্রকাশে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন খাশোগির বাগদত্তা খাদিজা চেঙ্গিস। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে লন্ডনে ওয়াশিংটন পোস্টের এক কলামিস্টের সঙ্গে আলাপকালে খাদিজা চেঙ্গিস এই আহ্বান জানান।
খাদিজা চেঙ্গিস বলেন, খাশোগি হত্যায় সারাবিশ্বের মানুষের সমবেদনার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকলাপে আমি সত্যিই হতাশ।
খাদিজা চেঙ্গিস বলেন, খাশোগি হত্যা বিষয়ে সত্য প্রকাশের পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।
তার এই মন্তব্য এমন এক সময় প্রকাশ পেলো যখন ট্রাম্পের আমন্ত্রণ তিনি প্রত্যাখান করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প হ্যাটিজেকে হোয়াইট হাউজে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
খাদিজা চেঙ্গিস বলেন, তার এই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করার জন্যই। আমি খাশোগির মৃতদেহ দেখতে চাই, সম্মাণের সঙ্গে তাকে দাফন করতে চাই।
ইতিপূর্বে হ্যাটিজেকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে নিহত হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এই পাশবিক ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অন্তত চারবার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে সৌদি আরব সম্প্রতি স্বীকার করেছে যে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় রাজ পরিবারের জড়িত থাকার কথা এখনও অস্বীকার করে আসছে সৌদি আরব। যদিও তুরস্কের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন যে, সৌদি যুবরাজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগী এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি মনে করছেন যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান হয়তো এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তিনি সৌদি আরবের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির চুক্তিটিও বাতিল করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। খাদিজা চেঙ্গিসকে বিয়ের জন্য কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সাংবাদিক জামাল খাশোগি সেখানে গিয়েছিলেন। এই সময় খাদিজা গেটের বাইরে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তিনি আর বের না হওয়ায় পরে খাদিজা বিষয়টি পুলিশে অবহিত করেন।