দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাকা প্রদেশের একটি গণকবরে দেড় হাজারেরও বেশি মরদেহের সন্ধান পেয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী।
দামেস্ক হতে এক খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাকা প্রদেশের একটি গণকবরে দেড় হাজারেরও বেশি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই সন্ধান পেয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। দায়েশ তাকফিরি সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট পরিচালিত যুদ্ধে এইসব মানুষ মারা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত পরশু (বুধবার) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিরিয়ান সরকারপন্থি আরবি ভাষার গণমাধ্যম আল-ওয়াতানের বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে প্রেসটিভি।
এই বিষয়ে রাকা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জামাল আল-ইসা বলেছেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক হতে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরের পানোরামা জেলায় গণকবরটির সন্ধান পাওয়া যায়।
জামাল আল-ইসা আরও বলেছেন, প্রতিদিনই রাকায় দায়েশ সন্ত্রাসী গ্রুপ ও অবৈধ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের কুকর্মগুলোও উন্মোচিত হচ্ছে।
ইসরা আরও বলেন, দায়েশ সন্ত্রাসী গ্রুপ বিতাড়িত হওয়ার পর এই জোট উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ান শহরে গোলাবর্ষণ করে এই শহরটির ৮৫ শতাংশই ধ্বংস করে ফেলেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার দূত বাশার আল-জা’আফারি ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট সিরিয়ার সন্ত্রাসী গ্রুপ ছাড়া যেকোনও কিছুকেই টার্গেট করছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূতের (স্টাফান ডি মিস্তুরা) ভূমিকায় আমরা সত্যিই অবাক হয়েছি। কারণ হলো তিনি সিরিয়ার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের অপরাধগুলো এড়িয়ে যান।
তিনি আরও বলেন যে, এখনও সিরিয়ায় কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট। সম্প্রতি তারা আল-সৌসা ও আল-বুবাদরান গ্রামে ৬২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর হতে দামেস্ক সরকার বা জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট। দায়েশকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে তারা।
সিরিয়ার নীরিহ মানুষগুলো অকাতরে জীবন দিচ্ছে। মুসলমানদের উপর বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। বহু শিশু ও মহিলাসহ বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। আমেরিকা রাশিয়া তাদের শক্তি দেখাতে তৎপর। এমন অবস্থার নিরসন খুব শীঘ্রই হবে বলেও মনে হচ্ছে না। তবে আর কতদিন এমন নির্মমতার শিকার হবেন সিরিয়ার মুসলিম জনগণ? সে প্রশ্ন এখন বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সামনে উঠে এসেছে।