দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানের একটি ‘হারিয়ে’ যাওয়া দ্বীপ হলো ইসানবে হানাকিতা কোজিমা। দীর্ঘদিন পর সেই হারিয়ে যাওয়া দ্বীপের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সারাবিশ্বের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হলো এই দ্বীপ!
অনেকদিন ধরেই কেওই খেয়াল করেনি এই দ্বীপের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি। এ বছরের হেমন্তকালটি জাপানের জন্য খুবই অদ্ভুত ছিলো। কিছুদিন পূর্বেই টাইফুনের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে যায় দেশটির চেরি গাছগুলো। সময়ের পূর্বেই ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গাছগুলো। বর্তমানে জানা যাচ্ছে, আস্ত একটা দ্বীপ হারিয়ে গেছে দেশটির উপকূল থেকে! তবে আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো তা কারও চোখেও পড়েনি দীর্ঘদিন ধরে!
দ্বীপটির নাম হলো ইসানবে হানাকিতা কোজিমা। এই দ্বীপ ও এর মতোই আরও ১৫৮টি জনশূন্য দ্বীপের নামকরণ করা হয় ২০১৪ সালে। যাতে করে অন্য কোনো দেশ এসে এর মালিকানা দাবি করতে না পারে। মূলত ওই দ্বীপের পাশ দিয়েই একসারি দ্বীপ রয়েছে যাদেরকে বলা হয় কুরিল। কুরিল দ্বীপগুলো নিয়ে কয়েক শতক ধরেই রাশিয়া এবং জাপানের মধ্যে বেশ দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।
তবে অদ্ভুত হলেও সত্য যে, অনেকদিন ধরেই কেও খেয়ালই করেনি এ দ্বীপের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। হিরোশি শিমিজু নামে এক লেখক ওই এলাকায় আসেন জাপানের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য। তিনি ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটিকে খুঁজে না পেয়ে আঞ্চলিক জেলেদের সাহায্য নেন। তারা নৌকা নামিয়েও ওই দ্বীপ খুঁজে পাননি।
জাপানের হোক্কাইডোর সারুফুতসু গ্রাম হতে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটি প্রায় নিশ্চিহ্নই হয়ে গেছে। এখানে কোনো এক সময় দ্বীপ ছিল তার একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ভেসে রয়েছে কিছু পাথর! হারিয়ে যাওয়া দ্বীপটিকে এখনও মনে রেখেছে ওই এলাকার কিছু বৃদ্ধ জেলে। তারা জানিয়েছেন, আসলেই ওই জায়গাটিতে এক সময় দ্বীপটি ছিল। পাথুরে দ্বীপ হওয়ার কারণে তারা ওই এলাকা হতে নৌকা দূরে রাখতেন।
কীভাবে এই দ্বীপ হারিয়ে গেলো?
আইএফএলসায়েন্স এর সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক খবরে বলে হয়েছে, দ্বীপ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত মাসেই হাওয়াইয়ের একটি দ্বীপ হ্যারিকেনের তোড়ে হারিয়ে গিয়েছে। গত ৫০ বছরের মধ্যে পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ হতে হারিয়ে গেছে অন্তত ৫টি দ্বীপ, তলিয়ে গেছে মাইক্রোনেশিয়ার ৮টি দ্বীপ। জাপানের এই দ্বীপটির ক্ষেত্রে আসলে কী হয়েছিল?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, ঢেউ ও ভেসে আসা বরফের কারণেই হারিয়ে গেছে ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটিও।