দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন শাস্তির কথা আগে আমরা কখনও শুনিনি। তবে এবার এমনই এক শাস্তির বিধান দেখে বিস্মিত সকলেই! এবার অপরাধের শাস্তি হিসেবে শোনানো হলো ব্যান্ড সংগীত!
এমন শাস্তির কথা আগে আমরা কখনও শুনিনি। তবে এবার এমনই এক শাস্তির বিধান দেখে বিস্মিত সকলেই! এবার অপরাধের শাস্তি হিসেবে শোনানো হলো ব্যান্ড সংগীত!
অনেকেই বলে থাকেন সংগীতের নাকি অবিশ্বাস্য ক্ষমতা রয়েছে। একটি ভালো গান মুহূর্তের মধ্যেই শ্রোতার বিষাদে ভরা মন আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম। তাকে মুহূর্তেই করতে পারে তৃপ্ত। তবে সেই গানই আবার কখনও শাস্তির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কথা কেও কখনও চিন্তাও করেননি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর একটি কারাগারে। সেখানে একজন বন্দিকে শাস্তি স্বরূপ টানা ১০ দিন গান শোনানো হয়েছে।
এ বছরের এপ্রিল মাসে হত্যা মামলার দায়ে আটক করা হয় ভেরাক্রুজ স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক গিলবার্তো আগুয়েরো গার্জাকে। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের আলামত গায়েব করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম থেকেই গিলবার্তো এই অভিযোগ পুরোপুরিভাবে আস্বীকার করে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে তাকে কারাদণ্ড না দিয়ে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়।
গিলবার্তোর আইনজীবী রিয়েস পিরেলটা অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশী হেফাজতে থাকার সময় তার মক্কেলের কারাকক্ষের সামনে টানা ১০ দিন উচ্চ শব্দে কলম্বিয়ান ব্যান্ড সংগীতশিল্পী মালুমার গান বাজানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, তার মক্কেল অভিযোগপত্রে সম্মতি দিতে অস্বীকার করেছিলো তাই তাকে শাস্তিস্বরূপ ওই ব্যাণ্ড সঙ্গীত শোনানো হয়েছে।
টানা ১০ দিন গান বাজানোর পর গিলবার্তোকে আবারও অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলা হয় তা নাহলে আবারও গান বাজানোর হুমকি দেওয়া হয়। লোকগানের ভক্ত গিলবার্তো ১০ দিন ব্যান্ড সংগীত শুনে মানসিকভাবে এতোটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করে দেন তিনি। বর্তমানে কারাগারেই রয়েছেন গিলবার্তো। তবে তার আইনজীবী পুলিশকে হুমকি দিয়েছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা করবেন বলে।