দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা বছরই পাওয়া যায় এমন একটি জনপ্রিয় ফল হচ্ছে পেঁপে। কাঁচা-পাঁকা দুইভাবেই এই ফল খাওয়া যায়। যেমন স্বাদ তেমনি এর পুষ্টিগুণ। তবে জানেন কি শুধু পেঁপে নয় পেঁপে পাতাও পুষ্টিগুণে কোন দিকে কম নয়। আজ আমরা পেঁপে পাতার জাদুকরি সব গুণাগুণ সম্পর্কে জানবো।
১। ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
জরায়ু ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মত মারাত্মক সব ক্যান্সার নিরাময়ে পেঁপে পাতা দারুন ভূমিকা রাখে। পেঁপে পাতায় অ্যাচেটোজেনিন নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারি কোষগুলোকে নষ্ট করে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে।
২। আলসার জাতীয় সমস্যা সমাধানঃ
পাকস্থলিতে আলসার সৃষ্টিকারি পাইলোরি নামের ব্যাক্টেরিয়াকে নষ্ট করতে পেঁপে পাতা কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পাকস্থলির যেকোন ধরণের প্রদাহ কমাতে পেঁপে পাতা কাজ করে।
৩। ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া নিরাময়ঃ
ডেঙ্গু জ্বর রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পেঁপে পাতা রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই পাতায় রয়েছে অ্যাসিটোজেনিন নামের এক ধরনের উপাদান, যা ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
৪। ব্রণ দূর করতেঃ
কিছু ব্রণ এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও সারতেই চায় না। এক্ষেত্রে আপনি শুকনো পেঁপে পাতা পানি মিশিয়ে বেঁটে ওই ব্রণের উপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৩-৪ দিন লাগান, ব্রণ সম্পুর্ণ সেরে যাবে।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ
প্রায় প্রতিটি মানুষকেই কোন না কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পেঁপে পাতার জাদুকরি গুন রয়েছে। পেঁপে পাতায় বিদ্যমান কারপেইন নামক উপাদান পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহকে ধ্বংস করে। ফলে পাকস্থলি থাকে বিপদ্মুক্ত। এছাড়া এতে বিদ্যামান প্যাপেইন, প্রোটিন এনজাইম এবং অ্যামাইলেইজ এনজাইম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৬। হার্টের সমস্যা সমাধানেঃ
পেঁপে পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, বি (নিয়াসিন) এবং পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো হার্ট ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
তাই এই সকল সমস্যা সমাধানে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন।