দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খেজুর গাছ থেকে রস বের হয়। শীতের সময় এই গাছ লাগানো হয়। কিন্তু আপনি যদি কখনও শোনের যে নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে বিয়ার। তখন বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। ঠিক এমন ঘটনায় ঘটেছে।
খেজুরের রসের মতোই এবার বের হচ্ছে নিম গাছ থেকে বিয়ার! বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব! এমন আবার কখনও হয় নাকি? হ্যাঁ ঠিক এমন একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটতে চলেছে ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এমন একটি ঘটনা ঘটছে পাঁচ দশক পুরনো এক নিম গাছে। এই খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই গাছের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। অত্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কোলকাতার একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর হতে জানা যায়, পুরোন এই নিমগাছ হতে নিঃসৃত হচ্ছে এক ধরনের সাদা রঙের পানীয় জাতীয় পদার্থ। সেই পানীয় খেলেই ধরছে নেশা! এই নয়া নেশাতেই মজেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও ছোট-বড় কর্মীর। নতুন এই পানীয়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিম বিয়ার’৷ চলতি বছরের নভেম্বর থেকে যা পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগবি স্টেডিয়ামের পাশের একটি নিম গাছে। প্রথম এই রস খেয়ে দেখেছিলেন ক্যাম্পাসে কাজ করতে আসা একজন কর্মী। ২ হতে ৩ গ্লাস খাওয়ার পরই নেশা বোধ করেন ওই ব্যক্তি। এরপর থেকেই ছড়িয়ে যায় নিম বিয়ার-এর গুণাঘুণ।
তবে এই বিয়ার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এমন কাওকে এখন পর্যন্ত খুুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে আরও বেশি করেই চলছে এহেন নেশা। কেও কেও আবার মজা করে বলতে শুরু করে দিয়েছেন যে, নিমগাছের রস তো! যতো খাবে ততোই মজবে। এতে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ হলো পুরোটাই তো নিম গাছের রস।
ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র একটা নয়; এমন আরও ১৫টি নিম গাছ আছে। তবে শুধু এই গাছটি থেকে বের হচ্ছে এমন সাদা তরল বা পানীয়। কিন্তু কেনো এমনটি হচ্ছে তার ঠিকঠাক কোনও কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে গবেষকদের ধারণা যে, কোনও ব্যাকটেরিয়ার কারণে গাছের ভিতরের তরল ফারমেন্টেড হতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরলের মাদক গুণ ক্রমেই নাকি কমেও আসছে। তবে এই রসের জনপ্রিয়তা কমেনি। খেজুরের রস সংগ্রহের মতোই গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি পাত্র। এতে প্রতিদিন জমা হয় সাদা তরল। বহু দূর হতেও পাওয়া যায় এই রসের (বিয়ার) গন্ধ।