দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে সম্প্রতি এমন এক গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে, যা মূলত ‘পৃথিবীর ভেতর আরেক পৃথিবী’ বলে মনে করা হচ্ছে। চঙকিং প্রদেশে আবিষ্কৃত ‘ইয়ার ওয়াং ডং’ নামে ওই গুহার আবহাওয়াও নাকি ভিন্ন!
চীনে সম্প্রতি এমন এক গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে, যা মূলত ‘পৃথিবীর ভেতর আরেক পৃথিবী’ বলে মনে করা হচ্ছে। চঙকিং প্রদেশে আবিষ্কৃত ‘ইয়ার ওয়াং ডং’ নামে ওই গুহার আবহাওয়াও নাকি ভিন্ন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বহুদিন হতেই দুর্গম ওই গুহার অবস্থান জানতেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের যাতায়াত ছিল গুহার সামান্য ভেতরে। তবে এই গুহার গভীরের রহস্য তারা বুঝতে পারেননি কখনও। স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া বাইরের কেওই তেমন একটা যেতেন না গুহাটির মধ্যে।
সম্প্রতি গুহা বিশেষজ্ঞ ও ফটোগ্রাফারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল ওই গুহার ভেতরে প্রবেশ করেন। দুর্লভ কিছু ছবি তুলে আনেন ফটোগ্রাফাররা। আর তখনওই বেরিয়ে আসে গুহার বিশেষ কিছু গোপনীয়তা। তারা বর্ণনা করেন অদ্ভুত ওই গুহার বিবরণসমূহ।
গুহাটির ভেতর নিজস্ব পৃথক আবহাওয়া ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, খাল-বিল, পাহাড় এমনকি আকাশও রয়েছে গুহায়, যা আমাদের দেখা পৃথিবী হতে কিছুটা ভিন্ন। সেখানে মেঘ রয়েছে। সেখানে রয়েছে কুয়াশা!
অভিযাত্রীরা জানিয়েছেন, ওই গুহাটির ভেতরের গভীরতা এতোটাই বিশাল যে, সেখানে শীতল আবহাওয়ার পাশাপাশি রয়েছে আর্দ্রতাও। যে কারণে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়াটাও খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
গুহার ভেতরের কিছু অংশে পানির পরিমাণ এতোটাই বেশি, সেখানে বিশাল বিশাল স্রোতের ধারা বয়ে চলেছে। যা সহজেই ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহদূর। পানি প্রবাহের এই চিত্র খুবই ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী। তবে গুহার ভেতরে থাকা পরিত্যক্ত পানির স্বাদ হলো নোনা। এই পানি পানের যোগ্য নয়।
গুহা পরিদর্শনকারী এক ফটোগ্রাফার বলেছেন, ইতিপূর্বে এতো বিস্তৃত কোনো গুহা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি, সেখানে রয়েছে কিছু অসাধারণ বিষয় যা দেখে সত্যিই আমরা অবাক হয়েছি।, ইয়ার ওয়াং ডং গুহা আসলে বিশাল এক গুহা।
তিনি আরও জানান, এই গুহা এতোটাই বিশাল যে, এর উপরের অর্ধেক অংশ পুরোটাই কুয়াশা ও মেঘে ঢাকা থাকে। এর আকাশের অংশ আনুমানিক ৮২০ ফুট উঁচু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে ওঠা ও ছবি নেওয়া অসাধারণ এক অ্যাডভেঞ্চার ছিল অভিযাত্রীদের কাছে।